নয়াদিল্লি : কোনও নেতা বা মন্ত্রী নন, কোনও চিকিৎসক বা নার্স নন। দেশের প্রথম করোনা টিকা নেওয়ার সাক্ষী রইলেন একজন আম আদমী। দিল্লি এইমস হাসপাতালের সাফাই কর্মী মণীশ কুমার পেলেন দেশের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন, যা জিতিয়ে দিল দেশের সাধারণ মানুষকেই।

মণীশ কুমার যখন এইমসে করোনা টিকা নিচ্ছেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন। ছিলেন দিল্লি এইমসের ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। এইমস ডিরেক্টর গুলেরিয়াও এদিন ভ্যাকসিন নেন। করোনা টিকা নেন এইমসের প্রত্যেক চিকিৎসক ও নার্সরা। টিকা নেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও।

#WATCH | Manish Kumar, a sanitation worker, becomes the first person to receive COVID-19 vaccine jab at AIIMS, Delhi in presence of Union Health Minister Harsh Vardhan. pic.twitter.com/6GKqlQM07d

— ANI (@ANI) January 16, 2021

এদিকে, শনিবার সকালে সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেন। দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার টিকাকরণ। রাজ্যে-রাজ্যে নির্দিষ্ট হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এরাজ্যেও মোট ২০৭টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা। শহর কলকাতার ১৭টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্বোধনী ভাষণের মধ্যে দিয়ে দেশজুড়ে করোনার টিকারকরণ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়া আপাতত চলবে। একই সঙ্গে দেশবাসীকে সতর্ক করে মোদী বলেন, টিকা নেওয়া মানে এই নয় যে, মাস্ক পরা বা দূরত্ববিধি ভুলে যাবেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী বলেন, আজ স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা দিয়ে, দেশ তার ঋণ শোধ করছে’!

ঠিক সকাল সাড়ে ১০ টায় বক্তব্য রাখেন মোদী। তিনি বলেন, আজকের দিনের জন্যই অপেক্ষা ছিল দেশবাসীর। অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মেড ইন ইন্ডিয়া দুটি ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। আরও কয়েকটির কাজ চলছে। আর এজন্যে বিজ্ঞানীদের প্রশংসা প্রাপ্য। তারা দিন-রাত এক করে কাজ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। এক্ষেত্রে খুব কম সময়ে জোড়া ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছ বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের তৈরি এই ভ্যাকসিনের নজর গোটা বিশ্বের রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I