স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া : দিলীপের পাল্টা সভা তৃণমূলের, ভিড় টানার টানাটানিতে ব্যাপক সংঘর্ষ দু’পক্ষের। হ্যাঁ এমন ঘটনাই ঘটেছে হাওড়ায়। বিজেপির অভিজহ তৃণমূলের কর্মীরা জোর করে তাদের সভায় ভিড় বাড়ানোর জন্য লোক টেনে নিয়ে যেতে চাইছিল। এতে এলাকাবাসি ক্ষুব্ধ ছিল। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এর প্রতিবাদ করতে এলে বচসা বাঁধে। ক্রমে তা সংঘর্ষের আকার নেয় দুই দলের মধ্যে। দুই দলের লড়াইয়ে অশান্তি সহ্য করতে হয় সাধারণ মানুষকে।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলার হাউলিবাগান এলাকা। সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন আগে পাঁচলার ধামিসায় জনসভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। একই জায়গায় আজ শনিবার পাল্টা সভার ডাক দেয় তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, হাউলিবাগান এলাকার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সভায় যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, ওই এলাকার মানুষ সভায় যেতে রাজি নারাজ।
তারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে দু-পক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায় বলে অভিযোগ। চলে ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে ছ’জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার নবনিযুক্ত সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় উপ-প্রধানের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। যদিও বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক।
গত বুধবার হাওড়া সদরের ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ‘আর নয় অন্যায়’ যাত্রার ডাক দিয়েছিল হাওড়া জেলা বিজেপি। মিছিলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ঢলের চেহারা দেখে উচ্ছ্বসিত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো বলেই ফেললেন,”গঙ্গার এই পাড় থেকে তৃণমূলকে মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হল বুধবার থেকে। হাওড়া থেকে তৃণমূলের উৎখাতের শুরু।” হুগলি ও বীরভূমেও একই রকম ভাবে গেরুয়া শিবিরের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলেই চ্যালেঞ্জ বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ‘আর নয় অন্যায়’ এই রোড শোতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান ও জেলা নেতৃত্ব সঞ্জয় সিং। চার কিলোমিটারের রোড শো শেষে হাওড়া ময়দানের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মুকুল রায়।
সভা মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ান দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। দিলীপ ঘোষ যেমন বলেন,”আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সদর হাওড়ার সাত আসনের একটিও পাবে না তৃণমূল কংগ্রেস।” রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.