অর্ণব গোস্বামীর গোপন চ্যাটে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি! রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে ফের কড়া পদক্ষেপ পুলিশের
কিছুদিন আগেই মুম্বই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন টিআরপি কেলেঙ্কারীর পিছনে থাকা অন্যতম প্রধান মাথা তথা ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্ত। আর তারপর থেকেই যেন কিছুতেই শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারছেন না রিপাবলিক টিভির ইডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী। এমতবস্থায় বার্কের প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তর সঙ্গে অর্ণবের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কিছু স্ক্রিনশট নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ফের সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।

ভাইরাল হওয়া চ্যাটের সূত্র ধরেই দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল রিপাবলিক টিভির কর্ণধার তথা বিজেপি ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর। এমনকী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগের খবর সামনে এসেছে। আর এই সমস্ত সুবিধাকে কাজেই লাগিয়েই এদতিন মিডিয়া ময়দানে অবলীলায় টিআরপি বাড়িয়ে বাণিজ্যিক ফায়দা লুটছিল রিপাবলিক টিভি, এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিকে সম্প্রতি অর্ণব ও পার্থ দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, ৩৬০০ পাতার সেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের প্রায় ৫০ পাতা জুড়েই রয়েছে দেশের মিডিয়া জগতের এই দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ন্যাপশট।এমতবস্থায় অভিযোগ উঠছে, বহু সরকারি গোপন তথ্য এমনকী নথির খোঁজ অনেক আগে থেকেই ছিল রিপাবলিক টিভির সম্পাদকের কাছে।
কেন্দ্রীয় ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর অবাধ বিচরণের কারণেই একাধিক ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা ভোগ করছিলেন অর্ণব, এমনটাই ধারণা মুম্বই পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ সম্ভবত প্রথম পার্থ-অর্ণবের কথোপোকথনের স্ক্রিনশটগুলি টুইটারে পোস্ট করেন। আর পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরালও হয়ে যায়। ওই কথোপকথনে অর্ণব দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও), তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক, এনএসএ এবং অজ্ঞাত কোনও 'AS’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর এত ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
এমনকী ওই চ্যাটেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে 'অপদার্থ’ বলেও কটাক্ষও করতে দেখা গিয়েছে অর্ণবকে। পাশাপাশি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার কথাও তিনি আগে থেকে জানতেন বলেই ওই চ্যাটের রেশ ধরে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারতীয় রাজনীতির আঙিনায়। অমনকী বার্ককে হাতিয়ার করেই মিডিয়া মহলে থাকা প্রতিযোগীদের তথ্য জোগাড় করা, ব্যবসায়িক মুনাফা লাভ, এমনকী অন্য চ্যানেলের বিরুদ্ধে ছক কষার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে ওই চ্যাটের মাধ্যমেই।