ব্রিসবেন: গাব্বায় তিনি ভারতীয় ইনিংসের পরিত্রাতা হয়ে উঠতে পারতেন৷ কিন্তু সিডনির মতো ব্রিসবেনও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ শট খেলে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন রোহিত শর্মা৷ ক্রিজে অজি বোলারদের বিরুদ্ধে দাপিয়ে বেড়ানোর পরও নাথান লায়নের বলে ‘হিটম্যান’ যে শট মেরে আউট হন, তাকে অপ্রয়োজনীয় ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলছেন কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাভাস্কর৷
গাব্বায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রান করার পর ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তুলেছে ভারত৷ আউট হয়েছে শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা৷ প্যাট কামিন্স শুরুতেই গিলকে তুলে নেন৷ কিন্তু ক্রিজে জমে যাওয়া রোহিতে প্যাভিলিয়নে ফেরান নাথন লায়ন৷ রোহিতের আউট হওয়ার ধরনে গাভাস্কর ক্ষুব্ধ ও হতাশ৷
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনারের মতে, এটি ভারতের ওপেনারের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের কাছ থেকে নেওয়া “দায়িত্বজ্ঞানহীন” শট। গাব্বায় নিজের ১০০তম টেস্ট খেলা অজি অফ-স্পিনারের এক সাধারণ ডেলিভারিতে উইকেট ‘উপহার’ দেওয়ার আগে পর্যন্ত সাবলীল ও দৃঢ় দেখাচ্ছি রোহিতকে। শুরুতেই গিলের উইকেট হারালেও চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে হাফ-সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন রোহিত৷
সেই সময় এই শটে রোহিতের আউট হওয়ায় মেনে নিতে পারছেন না সানি৷ চ্যানেল ৭-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাভাস্কর বলেন, ‘কেন? কেন? কেন? এটি একটি অবিশ্বাস্য শট। এটি একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন শট। লংয়ে ফিল্ডার রয়েছে, স্কোয়ার লেগে ফিল্ডার রয়েছে। তার পরেও এমন শট!’
তিনি আরও বলেন, ‘দু’টি ডেলিভারি আগে বাউন্ডারি পেয়েছে৷ তারপর কেন এই শট মারবে? তুমি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়৷ এই শটের জন্য কোনও অজুহাত নেই৷ অপ্রয়োজনীয় শট খেলে উইকেটটা উপহার দিয়ে এল রোহিত৷’ ৭৪ বলে ছ’টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪ রান করে আউট হন রোহিত৷
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য তাঁর শট খেলা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই রোহিতের গলায়৷ তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে অনুশোচনা করতে রাজি নই। আমি ঠিক জায়গাতেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। ঠিকভাবে কানেক্ট হয়নি। ডিপ স্কোয়ার লেগ এবং লং অনের মাঝে মারতে গিয়েছিলাম। পিচে বাউন্স ছিল, বল ব্যাটে আসছিল’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.