কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ঠিক কত দিনের ব্যবধান থাকা আবশ্যক এবং কেন?
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার সফলতা কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বা এসআইআই। তবে টিকার সঠিক ফল পেতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক বলেও জানানো হয়েছে। টিকার দুই ডোজের মধ্যে কত দিনের ব্যবধান থাকা প্রয়োজন, তা জানিয়ে দিল এসআইআই।

কত দিনের ব্যবধান
পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বা এসআইআই-এর তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়া শুরু হয়েছে। সেই আবহে নির্মাতা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ড টিকার সম্পূর্ণ সফলতা পেতে দুটি ডোজের মধ্যে কমপক্ষে ২৮ দিনের ব্যবধান থাকা উচিত। শরীরে প্রতিষেধককে ডালপালা বিস্তার করতে ন্যূনতম সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।

২৮ দিনের বেশি
কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান ২৮ দিন বা চার সপ্তাহের কম করা যাবে না। তার বেশি হলে ক্ষতি তো দূর, বরং সফলতা বেশি পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বা এসআইআই। তাদের বক্তব্য, কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান ছয়, আট কিংবা দশ সপ্তাহের হলে ফল আরও ভাল পওয়া সম্ভব।

কেন ২৮ দিনের ব্যবধান
শনিবার থেকে দেশজুড়ে কোভিশিল্ডের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে বলে জানিয়েছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বা এসআইআই। তাদের বক্তব্য, টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও দুই ডোজের মধ্যে সময়ের এই ব্যবধান মেনে চলা হয়েছে।

দেশে টিকাকরণ শুরু
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কোভিশিল্ডের টিকা পৌঁছে গিয়েছিল আগেই। শনিবার থেকে দেশের সব স্থানে টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। নিয়ম মেনে তাতে সামিল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গও।