ব্রিসবেন: গাব্বায় প্রথম দিন যেভাবে শেষ করেছিল, দ্বিতীয় দিন যেন সেভাবেই শুরু করল অস্ট্রেলিয়া৷ ষষ্ঠ উইকেটে ক্যাপ্টেন টিম পেইন ও ক্যামেরন গ্রিনের ৯৮ রানের পার্টনারশিপে সহজেই তিনশো রানের গণ্ডি টপকে যায় ক্যাঙ্গারুবাহিনী৷
শনিবার সকালে প্রথম এক ঘণ্টা দারুণ ব্যাটিং করেন শুক্রবারের অপরাজিত দুই অজি ব্যাটসম্যান৷ অনভিজ্ঞ ভারতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধে সাবলীল ব্যাটিং করে ১০২ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে টেস্ট কেরিয়ারে নবম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অজি ক্যাপ্টেন৷ এর আগে অবশ্য দলকে তিনশো রানের গণ্ডিতে পৌঁছে দেন অজি ক্যাপ্টেনের লড়াকু ইনিংস৷
পাঁচ উইকেটে ২৭৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে এদিন নবম ওভারেই অস্ট্রেলিয়াকে তিনশো রানে পৌঁছে দেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান পেইন ও গ্রিন৷ এরপরই হাফ-সেঞ্চুরি করেন পেইন৷ কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরির পরই পেইনকে প্যাভিলিয়ানের রাস্তা দেখানে শার্দুল ঠাকুর৷ দ্বিতীয় স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫০ রানে আউট হন অজি অধিনায়ক৷ ৩১১ রানের ষষ্ঠ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া৷
পেইনের সঙ্গে পার্টনারশিপ ভাঙার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে কাটাতে পারেননি গ্রিনও৷ হাফ-সেঞ্চুরির আগেই তাঁকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান ওয়াশিংটন সুন্দর৷ ব্যক্তিগত ৪৭ রানে অভিষেককারী অফ-স্পিনারের বলে বোল্ড হন গ্রিন৷ প্যাট কামিন্সের সঙ্গে পার্টনারশিপ হওয়ার আগে গ্রিনকে তুলে নেন সুন্দর৷ ১০৭ বলে হাফ-ডজন বাউন্ডারি মেরে ৪৭ রান করেন এই অজি অল-রাউন্ডার৷
এরপরই কামিন্সকে তুলে নেন শার্দুল৷ মাত্র ২ রান করে আউট হন কামিন্স৷ ৩১৫ রানে আট উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া৷ ফলে মাত্র চার রানের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত৷ শুক্রবার গাব্বায় টেস্টের প্রথম দিন মার্নাস ল্যাবুশানের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে ভালো জায়গায় শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া৷
ভারতীয় বোলিংয়ের অনভিজ্ঞতাক কাজে লাগিয়ে সেঞ্চুরিপূর্ণ করেন ল্যাবুশানে৷ ১৯৫ বলে ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছিলেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ১০৮ রানে টি নটরাজনের বলে পুল করতে গিয়ে ঋষভ পন্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন অজি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান৷ তবে এর আগে দু’টি বড় পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন ল্যাবুশানে তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ৭০ রানের পর চতুর্থ উইকেটে ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে ১১৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন তিনি৷ তাঁর ব্যাটে ভর করে প্রথম দিনের শেষে ভালো জায়গায় অস্ট্রেলিয়া৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.