এবার সেলিমের নিশানায় ভাইপোও! চিটফান্ড তদন্তে মোদী সরকারের 'সময়মতো' সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন
চিটফান্ড তদন্ত নিয়ে সুর চড়ালেন সিপিএম (cpim) পলিটব্যুরোর সদস্য মহঃ সেলিম (md salim)। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী কেডি সিং-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হলেও, নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেডি সিংকে বর্তমানে ইডির হেফাজতে নেওয়ার ঘটনাকে তিনি বলেছেন, অনেক দেরি হয়ে গেল।
তৃণমূলে 'বেসুরো' মমতা ঘনিষ্ঠ এক বিধায়ক! দল ও সরকারের কাজ নিয়ে ক্ষোভ

কেডি সিং-এর জামাই ভাইপো
সাংবাদিক সম্মেলনে মহ সেলিম দাবি করেন, ভাইপো হল কেডি সিং-এর জামাই। যদিও এর আগে দিলীপ ঘোষও একটা সময় অভিযোগ করেছিলেন অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার কেডি সিং-এর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৭-র শুরুর দিকে বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ছিলেন। এব্যাপারে সেলিম ভাইপো বলে অভিযোগটি করায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কী করেন, সেটাই দেখার।

কেডির বিরুদ্ধে নেই কোনও এফআইআর
মহঃ সেলিম অভিযোগ করেছেন, ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে থানায় থানায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল চিটফান্ড নিয়ে কোনও এফআইআর নেওয়া যাবে না। এব্যাপারে তাঁর কাছে প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছেন সেলিম। সেই কারণেই কেডি সিং-এর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নেই। সেই এফআইআর না থাকার কথা ইডিও তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে অ্যালকেমিস্ট নিয়ে ঝাড়খণ্ডের আদালতে প্রথমবার এফআইআর দায়ের করা হয়।

সাংসদ হতে ১০০ কোটি খরচ
সিপিএম নেতা মহঃ সেলিমের অভিযোগ রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ হতে ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন কেডি সিং। ২০১৪ সালের সেই রাজ্যসভা নির্বাচনকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটা কলঙ্কিত অধ্যায় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সেই সময় বিভিন্ন দলের বিধায়কদের প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন সেলিম। তিনি দাবি করেন, সেই টাকার হাত বদলের বিষয়টি মুকুল রায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই জানেন।

অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও মেলেনি ফল
সেলিমের আরও অভিযোগ অ্যালকেমিস্ট ও কেডি সিংকে নিয়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে তিনি চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি (অরুণ জেটলি) সেই সময় উত্তরে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে দীর্ঘদিন কিছুই হয়নি। বরং অরুণ জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে একবার বাজেটের লাঞ্চ স্পনসর করেছিল কেডি সিং-এর সংস্থা। যা নিয়ে তিনি চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রীকে। সেলিম অভিযোগ করেছেন, সেই সময় তিনি সেবি, ইডি, সিবিআই এবং কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকেও চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু এক সংস্থা অপর সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে। সঠিক ভাবে তদন্ত এগনো হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকারী অফিসারদেরই শুধুমাত্র বদল করা হয়েছে। তবে কেডি সিংকে নিয়ে তাঁর এই সক্রিয়তা বন্ধ করতে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের তরফে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ মহঃ সেলিম।