১০০ কৃষকের মৃত্যু হলেও নির্বাক থাকবেন মোদী! ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণে রাহুল
কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই আন্দোলনের রাস্তা থেকে পিছু হটবে না কেন্দ্র, শুক্রবারই রাস্তা নেমে সাফ বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই নয়া তিনটি কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম। যার জেরে রীতিমতো বেকায়দায় মোদী সরকার। এমতাবস্থায় শুক্রবার বিকালে ফের কেন্দ্রকে নিশানা করলেন সোনিয়া পুত্র।

বারংবার বৈঠকের পরেও মেলেনি কোনও রফা সূত্র
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ৫০ দিনেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও নিজেদের দাবি অনড় দিল্লির প্রতিবাদী কৃষকরা। আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনোভাবেই আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরবেন না বলেও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে কৃষক নেতাদের সঙ্গে ৮ দফা বৈঠকের পরেও এখনও মেলেনি কোনও রফাসূত্র। এবার তা নিয়েই সরব হলেন রাহুল।

১০০ কৃষকের মৃত্যু হলেও কিছু এসে যায় না মোদীর
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, " কৃষকদের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা নেই প্রধানমন্ত্রীর। বৈঠকের নামে সময় নষ্ট করে তাদের আরও বিপদের দিকে ঢেলে দিচ্ছে সরকার। আন্দোলনের ক্লান্তিকেই হাতিয়ার করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্র। তাতে ৬০ কেনো, ১০০ জন কৃষকের মৃত্যু হলেও মোদীর কিছু এসে যায়না।" যদিও কেন্দ্রের হাজারও ‘অপচেষ্টা' সত্ত্বেও দাবি না মান অবধি কোনও কৃষকই আন্দোলন ছেড়ে উঠবেন না বলে এদিন দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে আন্দোলন মঞ্চ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেন সোনিয়া পুত্র।

প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা-নেত্রীরা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল থেকেই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের বাসভবনের সামনে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা-নেত্রীরা। প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলে যন্তর মন্তরের সামনেও। এদিন রাহুলের সাথে গোটা প্রতিবাদ কর্মসূচীতে রাহুলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও।

দিনভর কৃষক অধিকার দিবস পালন
অন্যদিকে পাশাপাশি শুক্রবার সারাদিন ব্যাপী কৃষক অধিকার দিবস পালনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কংগ্রেসের তরফে। একইসাথে কমবেশি প্রতিটা রাজ্যেই রাজভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখায় প্রদেশ কংগ্রেস। অন্যদিকে কৃষি আইন সংক্রান্ত আলোচনার জন্য ইতিমধ্যেই চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও চার সদস্যেই এর আগে নয়া কৃষি আইনের পক্ষে মত প্রকাশ করায় প্রশ্ন উঠছে এই কমিটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই।
বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে মহাজোট বাংলায়! ১০টি দলের সঙ্গে কথা আব্বাস সিদ্দিকির