অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে গলল বরফ, 'সন্তুষ্ট' শতাব্দী জানিয়ে দিলেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিন কয়েক আগেই বীরভূমে পথ পরিক্রমা করে এসেছথেন শতাব্দী রায়। তারপর হঠাৎই ফেসবুক পোস্টে দলের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করে বসেন তিনি। এই নিয়ে তাঁর দিল্লি যাত্রা ও বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা নিয়ে সারা দিন চাপানউতোর শেষে স্বস্তি ফের পেল তৃণমূল শিবির। কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় অভিযেকের সঙ্গে বৈঠকেই বরফ গলল।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক শতাব্দী রায়ের
শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংসদ শতাব্দী রায় নিজেই জানিয়ে দিলেন- তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না। সাফ জানালেন দলের সঙ্গেই আছি। যা অভিযোগ ছিল, তা জানিয়েছি। অভিমান ছিল, মিটে গিয়েছে। আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে সব জট কেটে গেল। কাল ফেসবুক লাইভও তাই বাতিল। তিনি দিদির সঙ্গেই থাকছেন।

ফেসবুকে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়েছিলেন শতাব্দী
ফেসবুকে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। এদিনই ফেসবুকে তিনি লেখেন- দিল্লি যাচ্ছি, পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তারপরেই অমিত শাহের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের সাক্ষাতের জল্পনায় পারদ চড়ে। মুকুল রায় এই মর্মে শতাব্দীকে ফোনও করেন বলে জানা যায়।

জল্পনার অবসান হল শেষে, শতাব্দী তৃণমূলেই
শতাব্দী গতকালই ফেসবুক পোস্টে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সরব হয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর কেন্দ্রের একাধিক কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকা হয় না। তিনি জানতেই পারেন না দলের কর্মসূচির কথা। তারপরেই চড়তে শুরু করেছে জল্পনা। তিনি কি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? দিনভর জল্পনার অবসান হল শেষে।

শতাব্দীকে নিয়ে অভিষেকের অফিসে যান কুণাল
শতাব্দী রায়ের এই দলবদলের জল্পনার মাঝেই তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টা শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ছুটে যান শতাব্দী রায়ের বাড়িতে। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। তারপর তিনি বলেন, শতাব্দী রায় তাঁর পুরনো বন্ধ, গল্প করতে এসেছিলাম। এরই মধ্যে তিনি শতাব্দীকে নিয়ে অভিষেকের অফিসে গিয়ে বৈঠকে বসেন।