বাংলায় ভোটের ঘণ্টা বাজল বলে! চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ ৬ লক্ষ, তোড়জোর কমিশনের
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত হল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। জানা গিয়েছে, নতুন তালিকায় মোট ভোটার ৭ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৮০জন। বাদ পড়েছে প্রায় ৬ লক্ষ ভোটারের নাম। পাশাপাশি এদিন জানা গিয়েছে যে আগামী সপ্তাহের বুধবার বিকেলে রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। দুই দিনের সফরে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের আধিকারিকরা।

পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বাড়তি নজর
পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বাড়তি নজর দিচ্ছে তা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের দ্বিতীয় সফরে পরিষ্কার। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন চলতি মাসের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অসমাপ্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সংগঠিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন। প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্যে ন্যূনতম গাফিলতি হলে রেয়াত করা হবে না।

নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ
প্রশাসনিক মহলের মতে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বা ভোট পরিচালনায় যুক্ত কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কমিশন আগে তাঁকে শোকজ করত। যথাযথ উত্তর না পেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিত করত কমিশন। কিন্তু এবাররের নির্বাচনের আগে প্রত্যেকের উপরে নজর এতটাই জোরালো যে, ন্যূনতম গাফিলতি হলে কমিশন সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসারকে শাস্তি দিতে পারে বলে একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন সুদীপ জৈন।

২০১৬ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনের হিংসা
নির্বাাচন কমিশন সূত্রে খবর, জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন জৈন। নির্দেশ দেন, দু'-এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই সব পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি। অতি স্পর্শকাতর, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন সুদীপ জৈন। ২০১৬ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনের হিংসার তথ্য তুলে ধরে হিংসায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন।

২৯ হাজার বুথ বাড়বে
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন সংগঠিত করতে চাইছে কমিশন। কোভিড আবহে কমিশনের সিদ্ধান্ত, এ বার ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক ১০৫০ জন ভোটার থাকবেন। রাজ্যে বুথ রয়েছে ৭৮ হাজারের কিছু বেশি। প্রশাসনিক সূত্রের ধারণা, নতুন বিধিতে কমবেশি ২৯ হাজার বুথ বাড়বে। সেই অনুযায়ী বাড়বে ভোটকর্মী, নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও।

করোনা পরিস্থিতিতে ভোটাররা যাতে সরকারি নিয়ম মেনে চলে
করোনা পরিস্থিতিতে ভোটাররা যাতে সরকারি নিয়ম ও বিধি মেনে চলেন, তার উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে জেলাশাসকদের সশরীরে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের কাজে যুক্ত কোনও কর্মী-অফিসারদের গাফিলতির অভিযোগ উঠলে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন জৈন।