শুভেন্দুর দাবিই কি সত্যি, মমতার হুঁশিয়ারির পরেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরাচ্ছে একাধিক নার্সিংহোম
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রাজ্য বাসীর মন ভোলানোর জন্য তৈরি করেছে মমতা সরকার। তার কোনও সুবিধাই নেই। প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফেরালে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। মমতার সেই হুঁশিয়ারি এক প্রকার উপেক্ষা করেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরাল বাঘাযতীন ও পুরুলিয়ার দুটি নার্সিংহোম। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণ করতে রাজি হয়নি দুই নার্সিংহোমই।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিতর্ক
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ দিয়েছে মমতা সরকার। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি সফল হয়েে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। কিন্তু বিরোধীরা মমতার এই উদ্যোগকে লাগাতার কটাক্ষ করে চলেছে। শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন এই কার্ডে কোনও সুবিধায় নেই। চিকিৎসার জন্য সে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই কার্ডে তাতে কোনও চিকিৎসাই পাবেন না রাজ্য বাসী।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরাল নার্সিংহোম
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের পরেই বাঘাযতীন ও পুরুলিয়ার দুটি নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে প্রত্যাখ্যান করেষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর কাছে টাকা দাবি করেন তাঁরা। পরে এই নিেয় শোরগোল হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন তাঁরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চিকিৎসা শুরুর আগে দেখাননি। যখন টাকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে তক রোগীর পরিবার গিয়ে অভিযোগ করছে।

মমতার হুঁশিয়ারি
এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম গুলিকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন কোনও বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা না দিয়ে তার লাইসেন্স পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হবে। এমনকী মুখ্যসচিবও সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা তিন মাস পর্যন্ত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

মহিলার নামে স্বাস্থ্যবিমা
রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি বাড়ির মহিলাদের নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে ৫ লক্ষ টাকার বেশি চিকিৎসার খরচ হলে রোগীর পরিবারকে সেই টাকা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
দিল্লি যাত্রার আগে ছাড়লেন প্রশাসনিক পদ! দলকে বললে সমস্যার সমাধান হয় না, বিস্ফোরক শতাব্দী