কলকাতা : বুকফার্মের সঙ্গে আদালতে লড়াই চলছে লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের। তার দাবী সংস্থার থেকে ন্যায্য বয় বিক্রির লভ্যাংশ পাননি। এদিকে বুক ফার্মের এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। তাঁরা দাবী করছেন, লেখিকা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন। পুরোটাই অসত্য। সংস্থা সমস্ত অর্থ সময় অন্তর মিটিয়েছে লেখিকাকে। দাবী, ‘এরপরেও এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা’।
বুক ফার্ম জানিয়েছে ‘লেখিকা যা বলছেন সম্পূর্ণ মিথ্যা । এমন দাবী করে তিনি তাঁদের সংস্থার বদনাম করতে চাইছেন।’ ওই সূত্রের দাবী , ‘যে সংস্থার বার্ষিক টার্ন ওভার ১০ লক্ষ টাকা সেই কোম্পানি কীভাবে শুধুমাত্র একজন লেখিকার ২ কোটি টাকার বই বিক্রি করতে পারে?’
আরও বলা হচ্ছে যে , ‘এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী বই বিক্রি করে লভ্যাংশের ১৫ শতাংশ লেখিকাকে দেবে সংস্থা। ওই দাবী অনুযায়ী ২৭লক্ষ টাকা লেখিকার পাওয়ার কথা যা দেওয়া অসম্ভব কারণ সংস্থার টার্ন ওভার ১০ লক্ষের কাছাকাছি।’ তাই সংস্থার বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, ‘এগ্রিমেন্টের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর নিয়ম মেনে লেখককে রয়্যালিটির চেক দিয়েছে বুক ফার্ম। যাবতীয় চেক পেমেন্টের নথি আলিপুর আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে যেখানে ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে। তা সত্ত্বেও লেখক পাব্লিশিং কোম্পানির থেকে রয়্যালিটি পেমেন্ট পাননি বলে স্যোসাল মিডিয়া সহ থানায় অভিযোগ করেছেন।’
মূল ঘটনা কী? লেখিকার তরফে জানা গিয়েছে, বুকফার্ম প্রকাশনা থেকে সাহিত্যিক দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের সাতটি বই ছিল, যেগুলো অতিজনপ্রিয় ও বহুলবিক্রিত। কিন্তু গত এক বছর ধরে লেখিকা তাঁর প্রাপ্য রয়্যালটি তো পাচ্ছিলেনই না, উলটে অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ করে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এরকম অবস্থায় লেখকরা সাধারণত চুপ করে যান এবং প্রকাশক প্রতারিত করতেই থাকে।
দেবারতি মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন , ‘তিনি চুপ করে থাকেননি, গত জুন মাসে তিনি বুকফার্মকে বই প্রত্যাহারের আইনি নোটিশ পাঠান এবং কপিরাইট অধিকার প্রয়োগ করে অন্য প্রকাশনার (দীপ প্রকাশন) সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু অতিমারির সুযোগে বুকফার্ম আলিপুর আদালতে একতরফা ইনজাংকশন বের করে, যাতে লেখিকা নিজেরই বইয়ের অন্য কোথাও স্বত্ত্ব না দিতে পারেন।’ এই নিয়েই লড়াই চলছে লেখিকার ও প্রকাশকের মধ্যে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.