নয়াদিল্লি : ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটির একটি বইয়ের ছবি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবিতে দেখা গিয়েছে ওই বইতে লেখা রয়েছে যে মুঘল বাদশা ঔরঙ্গজেব প্রচুর মন্দির তৈরি করেছিলেন। এমন মন্দির তৈরি করেছিলেন, যা প্রায় ধ্বংস হয়ে এসেছিল। এই তথ্য ভাইরাল হওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের দাবি ইতিহাস বইতে প্রকাশিত ওই তথ্যের স্বপক্ষে প্রমাণ দিক এনসিইআরটি।
বলাই বাহুল্য, এই তথ্যের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি এনসিইআরটি। এমনকি এই তথ্যের উৎস কী, তাও জানাতে পারেনি এনসিইআরটি। আচমকা ইতিহাস বইতে এই ধরণের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন কেন পড়ল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঔরঙ্গজেবকে কেন ধর্ম নিরপেক্ষ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে, তা জানতে চেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের ওই তথ্যকে কেন্দ্র করে তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রশ্ন করা হয়েছে।
তবে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি এনসিইআরটি। এনসিইআরটির অনুমোদন করা একটি ইতিহাস বইতে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সঙ্গেই শাহজাহানেরও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ২৩৪ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে শাহ জাহান ও ঔরঙ্গজেব দুই সম্রাটই বহু ধ্বংস হয়ে যাওয়া মন্দির নতুন করে গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঐতিহাসিকরা বা ইতিহাসবিদরা এই তথ্যের কোনও উৎস পাচ্ছেন না। ফলে বেঁধেছে বিতর্ক।
আরটিআইতে প্রশ্ন করা হলে এনসিইআরটি পরিষ্কার জানিয়েছে তাদের কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। ফলে গোটা বিষয়টিই যথেষ্ট জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, তাঁকে নিয়ে লেখা এক বইতে তাঁর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য দিয়েছিলেন বিশিষ্ট ঐতিহাসিক অদ্রে ত্রুশে। তিনি নিজের লেখা বইতে ঔরঙ্গজেবকে ‘ভারতের সবথেকে বিতর্কিত সম্রাট’ বলে দাবি করেছিলেন।
ধর্মান্ধ বলেই ঔরঙ্গজেবকে চেনে মানুষ। কিন্তু এই লেখিকার দাবি ছিল, বাস্তব জীবনে আদৌ এমনটা ছিলেন না ঔরঙ্গজেব। তিনি বলেন, যত না মন্দির ধ্বংস করেছিলেন তার থেকে বেশি মন্দির তৈরি করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। তাঁর কর্মচারী হিসেবে সবথেকে বেশি হিন্দুকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। এছাড়া, সারাজীবন ধরে হিন্দু চিকিৎসকের পরামর্শই নিয়েছেন ওই মুঘল সম্রাট। এছাড়া বেশ কিছু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয় বইতে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.