স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: দিল্লিতে যাওয়ার আগে তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়৷ এব্যাপারে দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।

শতাব্দী রায় দাবি করেছেন, এর আগে দু’ বার তিনি তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন৷ শেষ বার গত সেপ্টেম্বর মাসেও ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন, কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি৷ আক্ষেপের সুরে শতাব্দী বলেন, ‘যে পদে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না, তা আঁকড়ে থেকে লাভ নেই৷’

বৃহস্পতিবার বিকেলেই শতাব্দী রায় ফ্যান্স ক্লাবের ফেসবুক পেজে একটি বীরভূমের মানুষের উদ্দেশে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী সাংসদ৷ সেখানে দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শতাব্দী৷ এ দিন তৃণমূল সাংসদ স্বীকার করে নিয়েছেন, ওই ফেসবুক পোস্ট তাঁরই করা৷ ফেসবুক পোস্টে নাম না করে দলের একাংশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন শতাব্দী রায়৷ অভিযোগ ছিল, বীরভূমের মানুষের কাছে যেতে তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ এক সময় বাংলা ছবির অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর স্টার ইমেজ দলের সৌজন্যে নয়, তিনি আগে থেকেই তারকা৷ শতাব্দীর সংযোজন, “পার্টি আমাকে শতাব্দী রায় বানায়নি, আমি নিজেই একজন স্টার ছিলাম৷ দলের সেই ন্যূনতম সম্মানটুকু দেওয়া উচিত ছিল৷ “

সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে যে মহামিছিল করলেন, তাতেও তাঁর পাশেই হেঁটেছিলেন শতাব্দী রায়। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ‘বেসুরো’ শোনা গেল বীরভূমের সাংসদের গলায়। শতাব্দী বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে রোড শো-তে ডেকেছিলেন, আমি গিয়েছিলাম৷ আমি রাজনীতিতেই এসেছিলাম ওঁর আমন্ত্রণে৷ কিন্তু তার মানে এই নয় যে, দলীয় ইভেন্টে ডাকা না হলেও আমি ছুটে যাব৷ আমার খারাপ লাগে যে, আমাকে দলের অনুষ্ঠানে ব্রাত্য৷ আমি কোনও কাজ না করে, ঘরে বসে বেতন নিয়ে ওয়েব সিরিজ দেখতে পারব না৷”

শনিবার দিল্লিতে যাচ্ছেন শতাব্দী রায়৷ সূত্রের খবর, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের সঙ্গে দেখা করবেন বীরভূমের তিনবারের সাংসদ। তাতেই জল্পনা তুঙ্গে, একুশের আগে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন শতাব্দী। এদিকে, দলের তিনবারের সাংসদের গেরুয়া শিবিরে যাওয়া ঠেকাতে শতাব্দী রায়ের মানভঞ্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল৷ শুক্রবার শতাব্দীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করার পর সন্ধ্যেয় শতাব্দীকে নিয়ে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গেলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের তিনজনের বৈঠক হয়৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I