নয়াদিল্লি: গত পাঁচ বছর ধরে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত ইয়েমেন৷ সেখানে মানুষের হাতে কাজ নেই, অর্থ নেই, চিকিৎসা নেই, খাবার নেই। কখনও আধপেটা কখনও বা না খেয়ে ধুঁকছে শিশুরা৷ প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একটি শিশু সেখানে অপুষ্টির শিকার৷ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ইয়েমেনের শিশুদের সেই দুর্দশার কথাই তুলে ধরল ভারত৷
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্তি বলেন, ‘‘ইয়েমেনের লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্দশার মধ্যে রয়েছে৷ মারাত্মক খাদ্যাভাব, নিরাপত্তাহীনতা এবং অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের তাৎক্ষণিক সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে৷ এর জন্য বিশ্ব মানব জাতির বিবেক জাগ্রত হতে হবে৷ ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করবে ভারত৷’’
ইয়েমেনের পরিস্থিতিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে UNICEF ৷ রাষ্ট্রসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে ২ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষের (যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ) মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ শিশু৷
ভারতের রাষ্ট্রদূত টিএস তিরুমূর্তি আরও বলেন, ‘‘এই সময় অন্যান্য উন্নয়নের কেন্দ্রে আমরা ইয়েমেনের জনগণকে রেখেছি৷’’ পাশাপাশি তিনি স্টকহোম চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বানও জানান৷ যেখানে ইয়েমেন সরকার ও হাউতি বিদ্রোহীদের মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আহ্বান জানানো হয়েছে৷ কারণ, ২০২১ সালে ইয়েমেন ব্যাপক দুর্ভিক্ষের মুখে পড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷
গত পাঁছ বছরে বারবার ইয়েমেনে রক্ত ঝরেছে৷ সম্প্রতি হামলা চলে অ্যাডেন বিমান বন্দরে৷ ইয়েমেনের সদ্য নির্বাচিত মন্ত্রিসভার প্রতিনিধিদের বিমান মাটি ছুঁতেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে অ্যাডেন বিমানবন্দর৷ শোনা যায় গুলির শব্দ৷শপথ নেওয়া নতুন সরকারের মন্ত্রীরাই ছিলেন নিশানায়৷ তবে তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি৷ ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী মইন আব্দুলমালিক সহ মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের নিরাপদে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়৷
এই ঘটনায় কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে রয়েছে রেড ক্রসের সদস্যও৷
তিরুমূর্তি বলেন, এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে, সেখানে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন মানবিক কর্মীরাও৷ প্রভুত চ্যালেঞ্জের মধ্যেই কাজ করে চলেছেন তাঁরা৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.