নয়াদিল্লি: আইন কানুন থাকার পরও আজও দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ১৮ বছররে নীচে মেয়েদের বিয়ে কিংবা গর্ভবতী হওয়ার ঘটনা ভারতের মত দেশে এক জ্বলন্ত সমস্যা। এতে ওই মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। তাই বয়সের নিম্নসীমা পুনর্বিবেচনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার।
গত বছর একটি টাস্ট ফোর্স গঠন করেছিল কেন্দ্র। বিশেষ এই কমিটি সুপারিশ করেছে মেয়েদের উপযুক্ত বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হোক। ‘দ্য প্রিন্ট’-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
গত বছর লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, বদল করা হতে পারে আইন অনুযায়ী মেয়েদের ন্যূনতম বয়স। তারপরেই এই বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সরকারি সূত্রের খবর, প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন সমতা পার্টির প্রধান জয়া জেটলি ও এনআইটিআই আয়োগের সদস্য ভিকে পাল। গত মাসেই তাঁরা মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার সুপারিশ করেছে।
এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, “এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে, এরকম একটা আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে যে, গ্রাউন্ডওয়ার্ক করতে হয় তার জন্য রাজ্যগুলি পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে। কারণ রাতারাতি এটা সম্ভব নয়।”
গতবছর জুনে সরকার যে, টাস্ট ফোর্স গঠন করেছিল সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব, উচ্চ শিক্ষা, স্কুল শিক্ষা, সাক্ষরতা, আইন বিষয়ক মন্ত্রীরা রয়েছেন। এছাড়াও আছেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার উপাচার্য ও মুম্বইয়ের এসএনডিটি উইমেন’স ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপাচার্য বসুধা কামাঠ, গুজরাতের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দীপ্তি শাহ। কমিটি আরও জানিয়েছে যে, মেয়েদের প্রথম সন্তান ধারণের ন্যূনতম বয়স হবে ২১। আধিকারিক বলেছেন, “টাস্কফোর্স জানিয়েছে যে, যৌনতার বিষয়ে বিচারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের পরিবর্তে যৌন পরামর্শ এবং যৌন শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.