কলকাতা: শীঘ্রই শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি৷ শনিবার থেকেই গণ-টিকাকরণের কর্মযজ্ঞ শুরু করতে চলেছে ভারত৷ টিকাকরণ শুরু হবে শহর কলকাতাতেও৷ প্রথম দফায় টিকা পাবেন চিকিৎসক নার্স থেকে শুরু করে সকল স্বাস্থ্যকর্মী ও সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করা কোভিড যোদ্ধারা৷ সেই মতোই ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকাকরণের প্রস্তুতি শুরু করল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ৷ শউরু হল তাঁদের নামের তালিকা তৈরির কাজ৷

মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন স্টেশনে বহু মানুষের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে সিআরপিএফ কর্মীদের৷ তাই টিকারকরণের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকারের তালিকাতেই রাখা হচ্ছে৷ এই তালিকা তৈরি হতেই শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণের কাজ৷ সম্প্রতি রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জোনাল রেলওয়েকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে৷ তাতেই দ্রুততার সঙ্গে সামনের সারিতে থেকে কাজ করা মেট্রোকর্মীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

জানা গিয়েছে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে কারশেডের কর্মী এবং পার্ক স্ট্রিটের মেট্রো ভবনের কর্মীদেরও৷ তালিকায় কর্মীদের নাম ছাড়াও তাঁদের বয়স, পদ ও বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ উত্তর-দক্ষিণ এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রতিটি স্টেশনের সুপারদের আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তাঁদের কর্মীদের সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

নিউ নর্মালে কোভিড বিধি মেনে শুরু হয়ে গিয়েছে অফিস-কাছারি৷ চলছে ট্রেন-মেট্রো৷ গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম মেট্রো চলতে শুরু করে৷ এর পর বেশ কিছু স্টশনে কর্মীরা কোভিড আক্রান্ত হন বলে জানা গিয়েছে৷ বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর হয়েছে৷ সংক্রমণ ছড়িয়েছে আরপিএফ কর্মীদের মধ্যেও৷ ফলে তাঁদের দ্রুত টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷ এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশি কর্মীরাও৷

এক মেট্রো আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মীদের। বেশ কিছু কর্মী সংক্রমিত হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ ফলে যত দ্রুত টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা যায় ততই ভাল। বয়স্ক এবং কো-মর্বিডিটি থাকা কর্মীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শুরু হওয়া প্রয়োজন৷’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I