এবার 'বেসুরো' গৌতম দেব! নিশানায় রাজ্যের অপর প্রভাবশালী মন্ত্রী
তৃণমূলে (trinamool congress) 'বেসুরো'দের তালিকায় একের পর নাম যুক্ত হচ্ছে। এদিন এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের (goutam dev) নাম। একদিকে যখন শতাব্দী রায়কে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ঘাসফুল শিবির, সেই পরিস্থিতিতে গৌতম দেবে মন্তব্যকে ঘিরে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল শিবিরে।

গৌতম দেবের নিশানায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
পর্যন্টন মন্ত্রী গৌতম দেবের নিশানায় রাজ্যের অপর মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বৃহস্পতিবার একটি রাস্তার উদ্বোধনে গিয়ে গৌতম দেব নিশানা করেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদকে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে তিনি অসহযোগিতার অভিযোগও করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও কোন কাজ হয়নি। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির একাধিক রাস্তা সারাইয়ের জন্য বারবার বলা হলেও কোনও রকমের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অধীনে। সেই দফতরের মন্ত্রী কোচবিহারের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আগে এই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন গৌতম দেব। কিন্তু তাঁর হাত থেকে সেই দায়িত্ব সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। সরাসরি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কিছু না বললেও, গৌতম দেবের নিশানা যে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা
দলের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। গৌতম দেব বলেছেন, যেভাবে যত্ন করে এবং গুরুত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছেন, তার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।

আবেগ তাড়িত হয়ে অভিযোগ
যদিও নিজের অভিযোগ নিয়ে সাফাই দিতে শোনা গিয়েছে গৌতম দেবকে। তিনি বলেছেন, আবেগ তাড়িত হয়ে গিয়েই মন্তব্যগুলো করে ফেলেছিলেন। যদিও এব্যাপারে এখনও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তিন বছর আগেও প্রকাশ্যে এসেছিল ২ মন্ত্রীর দ্বন্দ্ব
শুধু এবারই নয়, তিন বছর আগে এই দুইমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছিল। যদিও তার পরে পর্যটন মন্ত্রীর শিলিগুড়ির কলেজপাড়ার বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। সেই সময় অবশ্য গৌতম দেবের জমানায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা অরূপ বিশ্বাসকে দিয়ে সেই সময় দুই মন্ত্রীকে আলোচনাতেও বসিয়ে ছিলেন। দুজন দুজনের বন্ধু বলে, দুই মন্ত্রীই দাবি করেছিলেন সেই সময়।

একের পর এক কাঁটা তৃণমূলে
গত দুদিন ধরে শতাব্দী রায়কে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ঘাসফুল শিবির। ফেসবুকে নিজের ফ্যানক্লাবের মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যের পর শতাব্দী রায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শনিবার ফেসবুক লাইভে নিজের অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা বেড়েছে। এদিকে শতাব্দী রায় বেসুরো হতেই কুণাল ঘোষ, সৌগত রায়রা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও একাধিক সাংসদ কথা বলেন শতাব্দী রায়ের সঙ্গে।
তৃণমূলের সঙ্গে ১০ বছরের 'কন্ট্রাক্ট’ বিজেপির! একুশের 'ভবিষ্যদ্বাণী’ পিরজাদা সিদ্দিকির