দ্রাবিড়ভূমে রাহুল বনাম নাড্ডা! পোঙ্গলের আবহে তামিল মসনদে 'দিল্লির ছাপ' ফেলার চেষ্টা
তামিলনাড়ু ক্রমশ নির্বাচনের দিকে যত এগিয়ে চলেছে, ততই নির্বাচনী প্রচারে কোনও ছেদ পড়ছে না৷ রাজনৈতিক দলগুলি পোঙ্গল উৎসবকেও ছাড়তে রাজি নয়৷ পোঙ্গল, তামিলনাড়ুর সংস্কৃতির অন্যতম পরিচয়৷ এখন বিজেপিও সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে৷ তারা তাদের উত্তর ভারতীয় ভাবমূর্তি ঢেকে দিয়ে নিজেদের তামিলদের হিতাকাঙ্খি হওয়ার চেষ্টা করছে৷

পোঙ্গল উপলক্ষে তামিলনাড়ুতে নাড্ডা
আজ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা পোঙ্গল উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন৷ দল তামিল সংস্কৃতির পরিচায়ক হয়ে উঠতে চাইছে বলেও বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে৷ আরএসএস-এর প্রধান মোহন ভাগবতও শহরে উপস্থিত থাকবেন এই উৎসব পালন করার জন্য৷ কংগ্রেসও কিন্তু পিছিয়ে নেই৷ তারা বরাবর এই উৎসব অনাড়ম্বর ভাবে পালন করে৷ তবে এবার দক্ষিণের মাদুরাইতে জাল্লিকাট্টু (ষাঁড়ের লড়াই) - তে অংশগ্রহণ করবেন রাহুল গান্ধী৷

বহু আসনে নির্বাচনে লড়ার দিকে নজর বিজেপির
এদিকে পোঙ্গলের অনুষ্ঠান ছাড়াও নাড্ডা 'তুঘলক' ম্যাগাজিনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন৷ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর জায়গায় ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন৷ পূর্বঘোষিত ও সরকারি কিছু কাজের জন্য অমিত শাহ ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারছেন না৷ তাঁর সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছিল৷ কারণ, বিজেপি শাসক এআইএডিএমকে-র কাছ থেকে একটা বড় অংশের আসনে নির্বাচনে লড়ার জন্য দাবি করছে৷

মোহন ভাগবতও চেন্নাইয়ে রয়েছেন
এদিকে আরএসএস-এর প্রধান মোহন ভাগবতও চেন্নাইয়ে রয়েছেন৷ আর তিনিও একটি পোঙ্গলের অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন৷ আরএসএস-এর সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে তাঁর এই সফর অনেক আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছিল৷ কারণ তবে এই প্রথমবার পোঙ্গলের সময় রাহুল গান্ধী ওই রাজ্যে সফর করতে যাচ্ছেন এবং এর রাজনৈতিক গুরুত্বকে অবহেলা করা যাবে না৷ কংগ্রেসের ভাগ্য এই রাজ্যে ক্রমশ কমতে শুরু করেছে৷

রাহুলের আগমন ঘিরে খুবই উৎসাহী কংগ্রেস
কংগ্রেস রাহুলের আগমন ঘিরে খুবই উৎসাহী৷ তিনি বিদেশ থেকে ফেরার পর এটাই প্রথম সফর৷ টিএনসিসি-র সভাপতি কে এস আলাগিরি সাংবাদিকদের বলেছেন, 'মাদুরাইতে আয়োজিত জাল্লিকাট্টু দেখতে যাওয়া 'তামিলদেরই সম্মান' জানানোর সমান৷ চার ঘণ্টা ধরে এই অনুষ্ঠান চলবে৷ আর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশ্যে পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হবে৷ এর মধ্যে কোনও রাজনীতির ব্যাপার নেই৷' এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'ডিএমকে-র সভাপতি এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে রাহুলের বৈঠকেরও কোনও সম্ভাবনা নেই৷'

তামিল রাজমীতিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা
এই দ্রাবিড়ভূমে বিজেপি যখন তামিল সংস্কৃতির প্রতি নিজেদের নতুন করে খুঁজে পাওয়া ভালোবাসা তুলে ধরতে মরিয়া, তখন তামিল-পন্থী রাজনৈতিক দল ও সমাজকর্মীরা এর সমালোচনা করছেন৷ ডিএমকে-ই প্রথমবার পোঙ্গল উৎসবকে প্রকাশ্যে পালন করা শুরু করে৷ যদিও ২০০৭ সালে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিএমকের সভাপতি এম করুণানিধি একটা জনপ্রিয় কর্মসূচি এই নিয়ে নিয়েছিলেন৷