মেদিনীপুরঃ ২৪ ঘন্টার মধ্যে একের পর এক পদ থেকে সরানো হয় কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তার পর থেকে অধিকারী পরিবারের নজরে রেখেছিলো তৃণমূল।
শুভেন্দু দলছাড়ার পর ছোটভাই সৌমেন্দুকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল। দল সরিয়ে দেওয়ার পর শুভেন্দুর পথে যায় ছোটভাই সৌমেন্দু অধিকারী। যোগদান করেন বিজেপিতে! সৌমেন্দুর পর শিশিরবাবুকেও একের পর এক পদ থেকে সরানো হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। লড়াইয়ের সাথী সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে কার্যত ক্ষুব্ধ হন বর্ষীয়ান এই সাংসদ। প্রথমে দিঘা-শঙ্কপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়। পরে তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরানো হয়। দিঘা-শঙ্কপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রধানের পদে বসানো হয় পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের বিরোধী বলে পরিচিত অখিল গিরিকে।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদে বসানো হয় সোমেন মহাপাত্রকে। প্রথমে প্রশাসনিক ও পরে রাজনৈতিক পদ থেকে সরিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারীর পরিবারের যাবতীয় ক্ষমতা খর্ব করা হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিশির অধিকারী বলেন, তাঁর সামনে সব দরজাই খোলা রয়েছে, সব অপশন খোলা রয়েছে। তিনি ৬৩ সাল থেকে রাজনীতি করছেন। ফলে তিনি রাজনীতিতেই থাকবেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনীতি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ইট, কাঠ, পাথর হয়ে তিনি থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কারন হিসাবে তাঁর অসুস্থতাকেই দায়ী করেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, শিশিরবাবু অসুস্থ। সেই কারনে কাজ করত্যে পারছিলেন না। আর এই প্রসঙ্গে শিশিরবাবু জানিয়েছেন, ১৩০ বছর বাঁচব!
তবে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ।
তবে কি তিনি তার মেজো ও ছোট ছেলের পথেই হাঁটবেন। বিজেপিতে যোগদান করবেন? শিশিরবাবুর মন্তব্যে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, “ধ্বংস শুরু হয়েছে। আর সেই ধ্বংসের কাজ এগিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতে, দীর্ঘদিন কোনও পদে থাকলে তো রদবদল হয়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় তাঁরও অনেকবার দফতর বদল হয়েছে। তাতে কি তিনি অপমানিত বোধ করেছেন কখনও? এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানিয়েছেন, অসুস্থ ছিলেন তাই তাঁকে সরানো হয়েছে। দায়িত্ব চাইলে ফের তাঁকে দেওয়া হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.