পানাজি: চলতি আইএসএলে প্রথমবার একাদশে শুরু করা গোয়া গোলরক্ষক নবীন কুমারের হাতে আটকে গেল জামশেদপুরের সমস্ত প্রতিরোধ। অন্যদিকে জোড়া গোল করে চলতি আইএসএলে গোয়াকে পঞ্চম জয়টি এনে দিলেন জর্জ ওর্তিজ। বৃহস্পতিবার ফতোরদায় রেড মাইনার্সদের ৩-০ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলে তৃতীয়স্থানে জায়গা পোক্ত করল গৌররা। ওর্তিজ ছাড়া গোয়ার তৃতীয় গোলটি ইভান গঞ্জালেসের। হারের মাঝেই কয়েলের দলে হতাশা বাড়িয়ে লাল কার্ড দেখলেন অ্যালেক্স লিমা।

নবীনের পাশাপাশি লেনি রডরিগেজ এবং ইগর আঙ্গুলোর পরিবর্তে আলবার্তো নগুয়েরাকে একাদশে এনে এদিন চমক দেন গোয়া কোচ জুয়ান ফেরান্দো। অন্যদিকে একাদশে জোড়া পরিবর্তন এনে প্রথম পর্বে হারের বদলা নেওয়ার স্ট্র্যাটেজি সাজান ওয়েন কয়েল। আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টার। ১১ মিনিটে ভ্যানমালসামার শট শরীর ছুঁড়ে দুরন্ত রক্ষা করে নবীন জানান দেন দিনটা তাঁর। পরের মিনিটে আবার থ্রু বল ধরে বক্সে আগুয়ান আলেকজান্ডার রোমারিওর পা থেকে বল কেড়ে নেন জামশেদপুর গোলরক্ষক টিপি রেহনেশ। ১৫ মিনিটে ব্র্যান্ডনের থ্রু ধরে জর্জ ওর্তিজের শট ফের দারুণ ক্ষিপ্রতার সঙ্গে রক্ষা করেন রেহনেশ।

কিন্তু ১৯ মিনিটে ডেডলক ভাঙে জামশেদপুরের। নগুয়েরার মাইনাস বক্সের মধ্যে রিসিভ করে অরক্ষিত ওর্তিজ ঠান্ডা মাথায় বল জালে রাখেন। ২৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর মোক্ষম সুযোগটা পেয়েছিলেন ভালস্কিস। কিন্তু লিথুয়ানিয়ান স্ট্রাইকারের ক্লোজ-রেঞ্জ শট থেকে অবধারিত গোল রক্ষা করেন নবীন। প্রথমার্ধে এক গোলেই এগিয়ে থাকে গোয়া। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওর্তিজ। নগুয়েরার পা হয়ে ব্র্যান্ডনের স্কোয়্যার পাস থেকে গোয়ান ফুটবলারের শট প্রাথমিকভাবে ক্রসবারে লেগে গোললাইনের উপর ড্রপ পড়ে। ফিরতি শট ধাওয়া করে নির্দ্বিধায় জালে রাখেন ওর্তিজ।

এরপর হ্যাটট্রিকের সুযোগও এসেছিল ওর্তিজের কাছে। কিন্তু রেহনেশের দস্তানায় তা রক্ষা পায়। তবে ম্যাচের শেষদিকে ব্যবধান বাড়ে গোয়ার। ৮৯ মিনিটে বক্সের বাইরে পরিবর্ত আঙ্গুলোর সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে গোলের মুখ খোলেন ইভান গঞ্জালেস। তার চার মিনিট আগেই অ্যালেক্স লিমা লাল কার্ড দেখায় দশজনে হয়ে গিয়েছিল রেড মাইনার্সরা। শেষ অবধি তিন গোলেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে গোয়া। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচ পর তাদের সংগ্রহে ১৮ পয়েন্ট।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I