কলকাতা: বাগবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব মানুষের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বাগবাজারে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ৭০০ মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের দায়িত্ব নিলেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজই এই জায়গা পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। এরপর যার যেরকম জায়গা ছিল সেই মত কলকাতা কর্পোরেশন আগের পরিস্থিতি তৈরি করে দেবে।” চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বাস বাণী শোনান মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগুনে যে ১৫০ টি বাড়ি পুড়ে গিয়েছে সেই সবগুলি বাড়ি পুনরায় নির্মাণ করে দেবে রাজ্য সরকার। যতদিন না সেই বাড়ি তৈরি হচ্ছে, ততদিনের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেকের থাকা, খাওয়া ও পোশাকের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন গৃহহীনদের পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আল ও বাচ্চাদের জন্য দুধ-বিস্কুট দিতে। মন্ত্রী শশী পাঁজাকে নির্দেশ দেন ক্ষতিগ্রস্থ মহিলাদের প্রত্যেককে চারটি-পাঁচটি করে শাড়ি দিতে।

এদিন বাগবাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতার পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুরবোর্ডের অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ, পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সহ আরও অনেকে। এদিন ক্ষতিগ্রস্থ বস্তি এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন ‘উদ্বোধন’-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মহারাজের সঙ্গেও। ঘটনাস্থলের কাছেই ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার কার্যালয় থাকায়, সেটিরও যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ অবশ্য কটাক্ষ করে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, “মাত্র ৫ কেজি চালে কী হবে?”

উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে বাগবাজারের বস্তিতে। প্রথমে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন৷ পরে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ আগুন লাগার সময় বস্তিতে একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে কেপে উঠে এলাকা৷ মূহুর্তের মধ্যে আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে৷ আগুনের লেলিহান শিখায় ছাই হয়ে যায় কয়েকশো বাড়ি। শুধু বস্তি না, বুধবারে বাগবাজারের মায়ের বাড়ির অফিসের একাংশে দাও দাউ জ্বলে ওঠে আগুন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I