শনিবার শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণের কাজ! কর্মসূচির সূচনায় উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শনিবার ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে করোনার ভ্যাকসিন (corona vaccine) দেওয়ার কাজ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের কেন্দ্রগুলিতে সেদিন সকাল নটা থেকে শুরু হবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির তদারকি করা হবে। পুরো বিষয়টির তদারকি করা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী (mamata banerjee) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাকরণে উপস্থিত থাকবেন শনিবার বেলা একটায়।

টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে ভ্যাকসিন পৌঁছনোর কাজ শেষ
পশ্চিমবঙ্গে ২০৪ টি কেন্দ্র থেকে আপাতত করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই কেন্দ্রগুলিতে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন পৌঁছনোর কাজ শেষ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যে আসে করোনার ভ্যাকসিন। সাত লক্ষের কিছু কম ভ্যাতসিন এসেছে প্রথম দফায়। টিকাকরণ নিয়ে সমস্যা এড়াতে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে টিকাকরণের ড্রাই রান করা হয়েছে। বুধবার রাতেই করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড পৌঁছে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

সব থেকে বেশি ভ্যাকসিন বরাদ্দ কলকাতার জন্য
প্রথম দফায় রাজ্যে আসা ভ্যাকসিনের মধ্যে কলকাতার জন্য সব থেকে বেশি প্রায় ৯৩৫০০ ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম দফায় সরকারি হাসপাতালগুলিকেই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কেন্দ্রস্থ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিএনএমসির জন্য ১৬২০, এনআরএস-এর জন্য ৩৩৫০, এসএসকেএম-এর জন্য ৪২৫০, চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের জন্য ৮৫০, আরজি করের জন্য ৪২৫০ এবং সিএমসিএইচের জন্য ৩৯৯০ টি ডোজ বরাদ্দ করা হয়েছে।

প্রথম দফায় ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যকর্মীদের
কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রথম পর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এই টিকা দেওয়া হবে। এরপর তা দেওয়া হবে পুলিশকর্মীদের। পুরসভার কর্মী ও পরিবহণকর্মীদের ভ্যাকসিন আগে দেওয়া হবে। এরপর তালিকায় রাখা হয়েছে ৫০ ঊর্ধ্ব এবং কোমর্বিটিডিযুক্ত দেশবাসীদের। জানা গিয়েছে, শুরু থেকেই কো উইন অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন গ্রাহকদের নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর তুলে রাখা হবে।

থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীও
নবান্ন সূত্রে খবর শনিবার বেলা একটার সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকারণে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টির তদারকি করবেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যে ইতিমধ্যেই টিকাকরণের জন্য ৪০৮৯ টি কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী এই সংখ্যা বাড়ানো, কমানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই সারা রাজ্যে প্রায় ৪৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে এব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রথমদিন প্রায় ৩৫ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিও টিকাকরণে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। নিজেদের কর্মীদের টিকা দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও তারা টিকা দেবে বলে জানিয়েছে। তবে এব্যাপারে তাদেরকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। এব্যাপারে যেসব হাসপাতালের কর্মী সংখ্যা ৫০০-র বেশি, রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা সেখানে পরিদর্শনের পরেই সরকারের তরফে অনুমতি দেওয়া হবে।
'আগুন লাগাচ্ছে তৃণমূলই', বাগবাজার কাণ্ডে দাবি সায়ন্তনের, বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত চান রাহুল