বাগবাজারের সর্বহারাদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! দিলেন সবরকম সাহায্যের আশ্বাস
বাগবাজারে বিধ্বংসি অগ্নিকাণ্ডে অসহায় মানুষকে সাহায্যের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর৷ আজ ঘটনাস্থালে গিয়ে সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গতকাল ঘটনাস্থানে গিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বাপী ঘোষ এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা৷ তবে আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু এবং শিশুদের বিস্কুট ও দুধ দেওয়া হবে। তাছাড়া মহিলা, পুরুষ এবং শিশুদের পোশাক এবং কম্বল দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শশী পাঁজা৷

অগ্নির তাণ্ডবে পুড়ে ছাই সাজানো সংসার
অগ্নির তাণ্ডবে পুড়ে ছাই সাজানো সংসার৷ আগুন নিভলে ছাই ঘাঁটছে মানুষ৷ ইতিউতি ছড়িয়ে আছে ঘর-গেরস্থালীর আধপোড়া টুকরো৷ যেন সামনে পড়ে আছে বর্তমান-ইতিহাস৷ ছাই, গরম ছাই জমা হয়েছে৷ অনেকের আলমারিতে থাকা সোনা-রুপোর গয়নাও গ্রাস করেছে আগুন৷ হাতড়ে হাতড়ে গলে যাওয়া সোনা-রুপোর দলা খুঁজে চলেছে অসহায় চোখগুলো। চোখের সামনে এমন যতুগৃহ প্রত্যক্ষ করেনি এর আগে কেউ৷

পুড়ে ছাই উইমেন্স কলেজ লাগোয়া বস্তির ১৩৫টি ঘর
গতকাল বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বাগবাজারের উইমেন্স কলেজ লাগোয়া বস্তির ১৩৫টি ঘর। সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ বাগবাজার মহিলা কলেজের সামনের ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন লাগে৷ প্রকট শব্দে পরপর পাঁচটি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে গোটা এলাকাকে৷

টিন, লোহা বাদ দিয়ে কিছুই প্রায় নেই
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ২৭টি ইঞ্জিন৷ কিন্তু আগুন লাগার অনেক পরে দমকল আসে৷ আর তাই ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মনে৷ দমকল কর্মীদের উপর চড়াও হয় সাধারণ মানুষ৷ বাসস্থান হারানো মানুষগুলি সকাল থেকেই মনে বিষাদ আর চোখে জল নিয়ে ছাই ও জলের মধ্যে খুঁজে চলেছে আগুনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া জিনিসপত্র। কিন্তু, টিন, লোহা বাদ দিয়ে কিছুই প্রায় নেই তাঁদের।

ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন বাসিন্দারা
যাবতীয় আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, সঞ্চিত টাকা, বইখাতা, জামাকাপড় সবই পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র পরনের জিনিসগুলিই রয়ে গিয়েছে একমাত্র সম্বল হিসেবে। বিষাদের সঙ্গে রয়েছে চরম ক্ষোভও। মাঝে মাঝেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন তাঁরা।