নিছক দুর্ঘটনা? বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উসকে দিলেন দিলীপ ঘোষ
গতকাল বাগবাজারের ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ঘটনার বিষয়ে জানা নেই৷ তবে খুবই দুঃখজনক ঘটনা৷ অনেক মানুষের ক্ষতি হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে লাঠিচার্জ হয়েছে৷ সাংসদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়েছে৷' যদিও এখনও তদন্ত করে এই আগুনের কোনও কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ বা দমকল।

রাজ্য সরকারের দেখা উচিত অসহায় মানুষগুলো যেন সেবা পান
বিজেপি সাংসদ এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'রাজ্য সরকারের দেখা উচিত অসহায় মানুষগুলো যেন সেবা পান৷ এর আগেও কলকাতার একাধিক বস্তিতে আগুন লাগানো হয়েছিল নতুন নির্মাণ তৈরির জন্য৷ এই ঘটনা যদি হয়ে থাকে সরকারের উচিত তার তদন্ত করা৷' উল্লেখ্য, স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অভিযোগ এই বস্তিতে এর আগেও দু'বার আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছিল।

দমকল দেরিতে আসে বলে অভিযোগ
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় বাগবাজারের বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনায় দমকল দেরিতে আসায় স্থানীয় মানুষরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন৷ দমকল কর্মীদের উপর চড়াও হয় সাধারণ মানুষ। তাঁদের সরাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উপরও লাঠিচার্জ করা হয়৷ পরে ২৭টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় প্রায় দু'ঘণ্টা পর বাগবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷

বিধ্বংসী আগুন এর ১০৮টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে
বিধ্বংসী আগুন এর ১০৮টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। শীতের রাতে সর্বস্ব হারিয়ে মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছিল বাগবাজার মহিলা কলেজে। চোখের সামনে ঘর থেকে আসবাব, প্রয়োজনীয় নথি-পত্র ছাই হতে দেখে অনেকে হাউ হাউ করে কেঁদেছে। ফোন মারফত পরিস্থিতির খবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাদ যায়নি সারদা মায়ের বাড়িও। বাড়ির একাংশে আগুন লেগে বেশ কিছু নথি পুড়ে যায়। যদিও স্বস্তি, কোনও হতাহতের খবর নেই।

বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর
ঘটনাস্থানে গিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর বাপী ঘোষ এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা৷ আগুনের খবর পেয়ে গঙ্গাসাগর থেকে দ্রুত রওনা দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বস্তিতে বসবাসকারীদের মহিলা কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মন্ত্রী জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় বস্তি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।