ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ৬ কোটি করোনা টিকা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা সিরামের, বাড়তে পারে দাম
অবশেষে করোনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল ভারত। দেশের প্রায় ১৩টি শহরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে (এসআইআই) তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন 'কোভিশিল্ড'। এহেন যুদ্ধকালীন তৎপরতার মাঝেই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে ৫-৬ কোটি করোনা টিকার ডোজ সরবরাহের অঙ্গীকার করলেন এসআইআইয়ের কর্ণধার আদার পুন্নাওয়ালা। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১.১ কোটি ডোজ সরবরাহের পথে এগিয়েছে এসআইআই।

ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার
মঙ্গলবার পুনের এসআইআই থেকে আদার পুনাওয়ালা জানান, "সাধারণ মানুষ ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বাগ্রে টিকাকরণ প্রয়োজন, যা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।" সমগ্র ভারতবাসী সহ সিরামের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জন্যই যে এটা একটা বিশেষ দিন বলেও মনে করেন আদার। এদিকে, কেন্দ্রকে প্রত্যেক ডোজ মাত্র ২০০ টাকার বিশেষ মূল্যে বিক্রি করেছে এসআইআই, স্বভাবতই এ খবরে বেশ অবাক চিকিৎসকমহল।

বেসরকারি ক্ষেত্রে বাড়তে পারে টিকার দাম
সরকারি ছাড়পত্র পেয়ে গেলেও ভারতীয় বেসরকারি বাজারে ১০০০ টাকার মধ্যে 'কোভিশিল্ড' পাওয়া যাবে বলে জানান পুনাওয়ালা। এসআইআইয়ের এক আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যেই সৌদি আরব, ব্রাজিল, আফ্রিকার মত কোভ্যাক্স ফেসিলিটি দেশগুলি ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করেছে এসআইআইয়ের কাছে। পুনাওয়ালার বক্তব্য, বৃহৎ উৎপাদন ক্ষমতার কারণেই সারা বিশ্বের প্রত্যাশা ভর করেছে এসআইআইয়ের উপর। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিন চেয়ে বিভিন্ন দেশ চিঠি লিখলেও কিছু করার নেই, এসআইআই দেশের মানুষের কথা সর্বদা আগে ভাববে।

বিশ্বব্যাপী আসছে ভ্যাকিসিনের অর্ডার
দেশে সরবরাহের পর যে খুব শীঘ্রই সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন রপ্তানি শুরু করবে এসআইআই, মঙ্গলবার তা স্পষ্ট করেছেন পুন্নাওয়ালা। তাঁর মতে, "অন্যান্য প্রতিষেধক প্রস্তুতকারকদের সরবরাহ ক্ষমতা এখনও পর্যন্ত কিউ২-কিউ৩ -এ সীমাবদ্ধ রয়েছে, তাই যতদিন না অন্যান্য সংস্থা আমাদের জায়গায় পৌঁছাবে, ততদিন আমরা একইভাবে কাজ করে যাব।" অন্যদিকে নিরাপত্তার প্রশ্নে আদার পরিষ্কার জানান যে ডিসিজিআইয়ের ছাড়পত্র প্রাপ্ত সকল ভারতীয় ভ্যাকসিনই নিরাপদ।

কম সময়ে ভ্যাকসিন আনায় প্রশ্নের মুখে সিরাম
এদিকে করোনা আগমনের পরেই ২০২০-এর মার্চে ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে হাত লাগায় এসআইআই। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই এত কমদিনে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করার জন্য প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সিরামকে। এই প্রসঙ্গে আদারের স্পষ্ঠ, "আশা করি টিকা নেওয়ার আগে ভ্যাকসিন বিজ্ঞানকে খুঁটিয়ে বুঝে নেবেন মানুষ, তাহলেই আর অহেতুক প্রশ্নের দরকার পড়বে না। তাছাড়া সমস্ত গবেষণা, ট্রায়াল শেষেই বাজারে এসেছে ভ্যাকসিনয। তাই অহেতুক চিন্তার কিছু নেই।"
মানিকতলায় ব্যাটারির গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১১টি ইঞ্জিন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী