লাহোর: গত নভেম্বর মাস থেকে একইভাবে মাটি আকড়ে চলছে তাঁদের আন্দোলন৷ প্রবল শীত উপেক্ষা করে সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন পঞ্জাব-হরিয়ানার কিসানরা৷ তাঁদের সমর্থন জানিয়ে এই আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছেন বহু শিল্পী-তারকা৷ কিন্তু তাঁদের আন্দোলনে লাগেনি শৈল্পিক ছোঁয়া৷ যে ছোঁয়া দিয়ে গেলেন পরশি পাকিস্তানের গায়ক জওয়াদ আহমেদ৷ দিল্লি সীমান্তে লড়াই করা কিসানদের জন্য সুর বাঁধলেন তিনি৷

কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন দলজিৎ দোসাঞ্জ, প্রিয়াঙ্কা চোপরা এবং স্বরা ভাস্করের মতো শিল্পীরা৷ এবার ‘কিসান’ নামে গান বেঁধে কষকদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন পাক গায়ক জওয়াদ আহমেদ৷ তিন মিনিটের এই গানের মধ্যে দিয়ে তিনি তুলে ধরেছেন সমাজে কৃষকদের গুরুত্বের কথা৷ তাঁর গানের কথায়, ‘‘তেরি সোহনি ধারতি মা, তু জাগ দা পালান হার, হু তু জিয়া হ্যা্য়৷’’

তাঁর গানের অর্থ এই সুন্দর পৃথিবী তোমাদের, তোমরাই এই পৃথিবীর রক্ষাকর্তা৷ কৃষকরা যদি চাষ না করে, তাহলে সারা বিশ্ব না খেয়ে মারা যাবে৷ তিনি এই গানে শুধু ভারতের আন্দোলনরত কৃষকদের নয়, কুর্নিশ জানিয়েছেন গোটা বিশ্বের কৃষক সমাজকে।

কৃষক প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এক রূঢ় বাস্তব ছবিও তুলে ধরেছেন। জাওয়াদ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের কৃষকরাও অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছে৷ তাঁরাও যে নানাদিক থেকে শোষণ, বঞ্চনার শিকার সে কথা খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েছেন গায়ক। তাই তামাম দুনিয়ার অবহেলিত কৃষকদের কথা উঠে এসেছে তাঁর গানে। তাঁদের সবাইকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন গানের সুরে৷

জওয়াদের এই গান ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে৷ ইউটিউবে এই গানের ভিডিয়ো বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ তাঁর এই উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ শিখ কৃষক ভাইদের জন্য ভালোবাসা জানিয়ে গানের ভিডিয়োর নিচে কমেন্ট করেছেন পাকিস্তানের নাগরিকরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I