কৃষক আন্দোলনের জেরে ফাটল হরিয়ানার জোট সরকারে! মোদী-দুষ্মন্ত বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা
কৃষক আন্দোলনের জেরে টালমাটাল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে হরিয়ানার জোট সরকার। প্রতিবাদী কৃষকদের পক্ষে দাঁড়িয়ে সওয়াল করছেন বেশ কিছু জেজেপি ও নির্দল বিধায়ক। কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বাদ পড়েননি বিধায়ক-সাংসদরাও। এই পরিস্থিতিতে সরকার বাঁচাতে অমিত শাহের দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার ও উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা। এদিকে মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন দুষ্মন্ত চৌটালা।

বেকায়দায় হরিয়ানা সরকার
এদিকে দুষ্মন্ত চৌটালা বলেছেন, হরিয়ানা সরকার পড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবে সরকার। কিন্তু সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন জেজেপি ও নির্দল বিধায়ক বেসুরো। তাঁরা কৃষক আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়ে কৃষি আইন বাতিল করার দাবি তুলেছেন। সেইসঙ্গে হরিয়ানায় গত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী-সহ শাসক শিবিরের নেতাদের যেভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। তাই জল্পনা তৈরি হচ্ছে যে সরকার বাঁচাতেই তড়িঘড়ি মোদীর কাছে দুষ্মন্ত।

কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট
কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তিনটি কৃষি আইনের উপরেই এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। পাশাপাশি একটি কমিটিও গঠন করছে সুপ্রিম কোর্ট। কৃষি আইন সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে এই কমিটির মাধ্যমে একটি স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাবে বলে মত সুপ্রিম কোর্টের।

প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বাইরে চলছে বিক্ষোভ
এদিকে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বাইরে চলছে বিক্ষোভ। টানা দেড় মাস হয়ে গেল দিল্লির সীমান্তে প্রতিবাদ-অবস্থান করছেন কৃষকরা। দফায় দফায় বৈঠকের পরেও কোনও সমাধানসূত্র আসেনি। দু'দিন পরেই ফের এক দফা বৈঠক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর রাজপথে ট্র্যাক্টর ব়্যালির হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কৃষকরা।

কৃষক বিক্ষোভ ক্রমেই জটিল আকার নিতে শুরু করেছে
এদিকে দিল্লি সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ ক্রমেই জটিল আকার নিতে শুরু করেছে। ক্রমেই বেড়ে চলছে কৃষক মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়তে থাকা অসন্তোষের জেরে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। দফায় দফায় তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তবে অষ্টম দফার বৈঠকের পরও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। পরবর্তী বৈঠক ১৫ জানুয়ারি। কৃষকরা বারবার কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন। কিন্তু কেন্দ্র তাতে রাজি নয়। পরিবর্তে কৃষি আইনগুলি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।