পানাজি: মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে হেরে শীর্ষস্থানের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে এটিকে-মোহনবাগান। ম্যাচ হারের হতাশার মাঝেই হাবাসের সংসারে দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে দুর্গের শেষ প্রহরী অরিন্দম ভট্টাচার্যের চোট। মুম্বই ম্যাচে প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে একটি ক্ষেত্রে বাঁ-চোখে চোট পান অরিন্দম। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর বাকি ম্যাচটা সেই চোট নিয়েই খেলেন অরিন্দম।

কিন্তু হোটেলে ফেরার পর বাঁ-চোখে সমস্যা অনুভব করেন এটিকে-মোহনবাগানের ‘লাস্ট ডিফেন্স’। চোখ দিয়ে জল গড়াতে থাকে অরিন্দমের। এরপরই প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে চোখে ব্যান্ডেজ করা হয় এটিকে-মোহনবাগান গোলরক্ষকের। হোটেলের ঘরে বসে চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় অরিন্দমের ছবি প্রকাশিত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এটিকে-মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি কিছু জানানো না হলেও দলের পয়লা নম্বর গোলরক্ষকের চোটের খবর শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা।

তবে জানা গিয়েছে, চোট ভীষণ গুরুতর কিছু নয়। হাতে যেহেতু যথেষ্ট সময় রয়েছে তাই চোট সারিয়ে ১৭ জানুয়ারি গোয়া ম্যাচ খেলতে অসুবিধে নেই অরিন্দমের। সোমবার ম্যাচের প্রথমার্ধে মুম্বই গোলরক্ষক মোর্তাদা ফলের পা তা অরিন্দমের চোখে এসে লাগে। সমস্যা হলেও মনের জোর নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা চালিয়ে যান তিনি। ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরার পর চোখ লাল হয়ে জলও গড়াতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া গতি ছিল না। চিকিৎসকেরা তাঁকে দু-তিনদিন চোখে আলো ফেলতে নিষেধ করায় চোখে এই ব্যান্ডেজ করা হয়েছে অরিন্দমের। তবে গোয়া ম্যাচে খেলতে কোনও অসুবিধে নেই অরিন্দমের। হাবাস দলে রাখলে তিনি মাঠে নামতেও প্রস্তুত, জানিয়েছেন অরিন্দম।

উল্লেখ্য, গত মরশুমের রেশ ধরে রেখে চলতি আইএসএলেও দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন অরিন্দম। ১০ ম্যাচে ৭টি’তে ক্লিন শিট রেখছেন তিনি। তবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দুরহ কোন থেকে ওগবেচের ক্লিনিক্যাল ফিনিশের ক্ষেত্রে কিছু করার ছিল না অরিন্দমের। ওগবেচের গোলেই সোমবার সার্জিও লোবেরার দলের কাছে মাথা নোয়াতে হয় হাবাস অ্যান্ড কোম্পানিকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I