স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া : প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। হাওড়ায় এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কেডি সিং গ্রেফতার হয়েছে। কারণ হয়তো ২০১১এর নির্বাচনে তার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তৃণমূলের পার্টি অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। হয়ত সেই লেনদেনের তথ্য ইডির হাতে এসেছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
সবাই বলছে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে গ্রেফতার হননি কিন্তু কেডি সিং বিজেপিতে যোগ দেননি বলে তাকে গ্রেফতার করা হল। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “মুকুল রায় কে তা আগে জানতে হবে । উনি তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান ইন কমান্ড ছিলেন। মুকুল রায়ের দল ছাড়ার কারন ভাইপো। দিদিমণি কি ভাইপো ছাড়া কারও কথা শোনেন ? মুকুল রায় টাকা নিয়েছে এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে ?”
তিনি আরও বলেন, “টাকা সরাসরি দিদিমণির কাছে যেত। মুকুল রায় যেহেতু দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন তাই সবাই ভাবে মুকুল রায় টাকা নিয়েছে। মুকুল রায়কে হাতে কলমে কোনওদিন টাকা নিতে দেখা যায় নি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বুধবার বিজেপি যুব মোর্চার তরফে হাওড়ায় ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত র্যালি ও যোগদান মেলা কর্মসূচি নেওয়া হয়। র্যালি শুরু হয় দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ। এরপর ছিল বিজেপির যোগদান মেলা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং, রাজ্য সহ সভাপতি সাংসদ অর্জুন সিং, রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিকে বুধবারই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে প্রায় ২৩৯ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় গত কয়েকদিন ধরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এদিন জিজ্ঞাসাবাজের সময়ই ইডি এর সদর দফতরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিনই আদালত কে ডি সিং-কে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে বাজার থেকে বেআইনিভাবে যে কোটি-কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে, সেই টাকা একাধিক ‘প্রভাবশালীর’ কাছে গিয়েছে। এমনকী, সেই টাকা বিদেশেও পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা ইডি কর্তাদের। এই মামলার তদন্তে নেমে সংস্থার একাধিক কর্মী-আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ইডি। জেরা চলছে অ্যালকেমিস্ট কর্তা কেডি সিং-য়েরও।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.