স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে অ্যালকেমিস্টকর্তা কেডি সিংকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তৃণমূলের দাবি, কেডি সিংয়ের সঙ্গে এখন তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বরং তাদের হুঁশিয়ারি, নির্বাচনের আগে চমক দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ হলে তৃণমূল আন্দোলনে নামবে।
রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কে ডি সিংয়ের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে বিঁধলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, “কেডি সিংকে দলে এনেছিল মুকুল রায়। তাঁকে নিয়ে দলকে ভুল বুঝিয়েছিল। অ্যালকেমিস্ট থেকে টাকা পেয়েছেন মুকুল। তাঁকে এখনই গ্রেফতার করা হোক।” কুণাল ঘোষের দাবি, “কেডির দোষ থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু নির্বাচনের আগে চমক দেওযার জন্য এই পদক্ষেপ হলে তৃণমূল আন্দোলনে নামবে।”
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বললেন, “কে ডি সিংহের সঙ্গে দীর্ঘদিন তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ দফতরের অধীন তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং-এ কেউ অভিযুক্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে এই সংস্থা। আমার মনে হয়, নিশ্চয়ই কোনও দোষ পেয়েছে, তাই গ্রেফতার করেছে।”
অন্যদিকে কে ডি সিংয়ের গ্রেফতারির পরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তৃণমূলকে নিশানা করেছে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘ওনার আরও আগে গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। উনি আরও বড় দুর্নীতিতে জড়িত।’ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কান টানলে তো মাথা আসবেই। কে ডি সিংকে দিয়েই তো নারদ করিয়েছিলেন, সবাই তো জানে। কার বিয়েবাড়ি দিল্লিতে স্পনসর করেছিল কে ডি সিং, সেটা সবাই জানে।’বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের দাবি, ‘গড়াপেটা গেম চলছে। রাঘোববোয়ালদের ধরা উচিত।’
বুধবার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে প্রায় ২৩৯ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় গত কয়েকদিন ধরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এদিন জিজ্ঞাসাবাজের সময়ই ইডি এর সদর দফতরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিনই আদালত কে ডি সিং-কে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সেই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অভিযোগ করেন, রাজ্যের ৭০ লাখ পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করেছে প্রাক্তন সাংসদের সংস্থা। তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রান্তিক ও গরিব মানুষরা। তাই গ্রেফতারি শুধু যথেষ্ট নয়, প্রাক্তন সাংসদের সম্পত্তি বিক্রি করে আমজনতার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন শুভেন্দু।
তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে বাজার থেকে বেআইনিভাবে যে কোটি-কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে, সেই টাকা একাধিক ‘প্রভাবশালীর’ কাছে গিয়েছে। এমনকী, সেই টাকা বিদেশেও পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা ইডি কর্তাদের। এই মামলার তদন্তে নেমে সংস্থার একাধিক কর্মী-আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ইডি। জেরা চলছে অ্যালকেমিস্ট কর্তা কেডি সিং-য়েরও।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.