নয়দিল্লি : নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা করে কৃষক আন্দোলন ৪৮দিন পেরিয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের বিবাদ এড়াতে সুপ্রিম কোর্ট আপাতত তিন কৃষি আইন কার্যকর করার ব্যাপারে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট কৃষি আইন ঘিরে এই জট কাটাতে চার সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি করে দিয়েছে।
কিন্তু এই কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।যে চার সদস্যদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে কৃষকদের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য তাদের চারজনই নতুন কৃষি আইনের সমর্থক বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই নয় আন্দোলনকারী কৃষকেরা আদালতের এই অন্তর্বর্তী রায় কে ‘লুকোনো ফাদ’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের তৈরি এই চারজনের কমিটিতে রয়েছেন দুই কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি এবং প্রমোদ কুমার যোশী। বাকি দুজন হলেন দুই কৃষক সংগঠনের নেতা ভুপেন্দ্র সিংহ মান এবং অনিল ঘনওয়াত। এদের প্রত্যেককেই নানা সময়ে নয়া কৃষি আইনের পক্ষে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে আবার দুই কৃষক নেতা কৃষিমন্ত্রীর কাছে নতুন কৃষি আইনকে সমর্থন জানিয়ে স্মারকলিপিও পাঠিয়েছিলেন।
দেখে নেয়া যাক এই চার সদস্যদের
কৃষি অর্থনীতিবীদ প্রমোদ কুমার যোশী ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর। তাছাড়া তিনি ছিলেন হায়দরাবাদ ভিত্তিক ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ ম্যানেজমেন্ট এবং নয়াদিল্লি ভিত্তিক ন্যাশনাল সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স এন্ড পলিসি রিসার্চ -এর ডিরেক্টর। তিনি সিনিয়র ইকোনমিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ক্রপস ইনস্টিউট ফর সেমিঅ্যারিড ট্রপিকস-এ। উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় তার জন্ম। জিবি পান্থ ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে তিনি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। তিনি সব সময় এই তিন কৃষি আইনকে সমর্থন করেছেন । এই বিষয়ে তিনি পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেছেন।
প্রফেসর অশোক গুলাটি হলেন বিশিষ্ট কৃষি অর্থনীতিবীদ। তিনি কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইস-এর চেয়ারম্যান ছিলেন। অটল বিহারি বাজপেয়ীর সরকারের আমলে তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের কনিষ্ঠতম সদস্য। তাছাড়া তিনি আইসিআইসিআই ব্যাংক এবং এগ্রিকালচারাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের বোর্ড সদস্য । তিনি বর্তমানে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক রিলেশনস-এর ইনফোসিস চেয়ার প্রফেশন ফর এগ্রিকালচার ।২০১৫ তিনি পদ্মশ্রী খেতাব পেয়েছেন। তিনি মোদী সরকারের কৃষি আইনের সমর্থক।
ভূপেন্দর সিং মান হলেন বিকেইউ-এর স্প্লিন্টার ইউনিট এর (যা বিকেইউ মান বলে পরিচিত) জাতীয় সভাপতি। তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং তার বিকেইউ ইউনিটের সমর্থক। তাঁর পুত্র গুর প্রতাপ মান হলেন পাঞ্জাবের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৯০ সালে রাজ্যসভায় মনোনীত হন। তিনি কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন কৃষি আইনের সমর্থন জানিয়ে কিন্তু বলেছিলেন কিছু সংশোধন প্রয়োজন। তিনি সরকারের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস চান যেন সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে সরে না আসে।
অনিল ঘনওয়াত হলেন মহারাষ্ট্র ভিত্তিক শেতকারি সংগঠনের সভাপতি। এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন বিখ্যাত কৃষক নেতা শারদ যোশী। এই সংগঠনটি সরকারকে পুরোপুরি সমর্থন করছে এই তিনটি কৃষি আইনের ব্যাপারে। সংগঠনটি প্রথমেই জানিয়েছিল কৃষকদের এই আন্দোলনে যোগ দেবে না এবং সমর্থন করবে না। এই সংগঠনটির সদস্যরা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কাছে গিয়ে জানিয়েছিল নতুন আইন সমর্থন করছে বলে। সেই সময় তারা স্মারকলিপি দিয়ে কৃষি আইন কে সমর্থন করলেও কিছু বিষয় সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস চেয়েছিল। এই সংগঠন জানিয়েছে তারা পুরোপুরি এই কৃষি আইন তুলে দেওয়ার বিরোধিতা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I