২০২১ ভোটে কাজে গাফিলতি হলেই সরকারি আধিকারিককে অপসারণ! কড়া হচ্ছে কমিশন
২০২১ নির্বাচন নিয়ে কোনও মতেই কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেনা নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। আর সেই বৈঠকের অন্দরে কী ঘটেছে জানা যাক।

পুলিশ কর্তাদের প্রশ্নবাণ
এদিন কমিশন রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের কার্যত প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে গিয়েছে। প্রশ্ন করা হয় কলকাতা ও ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারদের।পুলিশ কর্তাদের কাছে শুধু গত ৬ মাসে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতিই নয়, বরং ২০১৯, ২০১৬ সালে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে কমিশন, বলে খবর।

কমিশনের সিদ্ধান্ত
কমিশন এদিন সাফ বার্তায় জানিয়েছে, একুশের বিধানসভা ভোটে কোনও আধিকারিক কাজে গাফিলতি করছেন , খবর এলেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। শোকজের উত্তরের জন্য অপেক্ষা পর্যন্ত করা হবে না।

বুথ বাড়তে পারে!
জানা গিয়েছে , প্রয়োজনে করোনা পরিস্থিতি নজরে রেখে বিধানসভা ভোটে বুথের সংখ্যা বাড়তে পারে রাজ্যে। সেদিক থেকে নিরাপত্তা কঠোর করতে বাংলার পরিস্থিতি , আইন শৃঙ্খলার উপর পুলিশের দাপট কতটা তা আঁচ করতে চাইছে কমিশন। প্রসঙ্গত, এদিন পুলিশ কর্তারা গত ৬ মাসের যে রিপোর্ট পেশ করেছেন কমিশনের সামনে, তাতে সন্তুষ্ট নয় কমিশন।

কোন এলাকা কমিশনের ফোকাসে!
জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর, রানাঘাট, বারাসাত, কোচিবহারের পুলিশ সুপারদের রিপোর্টে খুশি হননি উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। আগামীকাল ফের রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে পরের সপ্তাহে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলবিশ কমিশনারদের সঙ্গে তিনি ফের বৈঠক করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেন সুদীপ জৈন।