সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : রয়্যালটি না দেওয়ার অভিযোগে ৪২০, ৪০৬ সহ একাধিক ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী থানায় প্রকাশনা সংস্থা বুকফার্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক দেবারতি মুখোপাধ্যায়।

দেবারতি মুখোপাধ্যায় কোভিড পজিটিভ, হাসপাতালে এডমিটেড। এই অবস্থায় বুকফার্ম নামক প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে এই লড়াই লড়ছেন তিনি। তাঁর দাবী , ‘বাংলা সাহিত্যে লেখককে ঠকানো নতুন কিছু নয়। সেই প্রচলিত ধারার বিরুদ্ধে আমি অসুস্থ অবস্থান লড়ছি। কেউ মুখ খোলেনা। আমি প্রতিবাদ করছি। আমার আশা এই লড়াই দৃষ্টান্ত তৈরি করবে এবং এই লড়াই সমস্ত বাঙালি লেখককে সাহস যোগাবে।’

ঘটনাটি কী? লেখিকার তরফে জানা গিয়েছে, বুকফার্ম প্রকাশনা থেকে সাহিত্যিক দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের সাতটি বই ছিল, যেগুলো অতিজনপ্রিয় ও বহুলবিক্রিত। কিন্তু গত এক বছর ধরে লেখিকা তাঁর প্রাপ্য রয়্যালটি তো পাচ্ছিলেনই না, উলটে অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ করে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এরকম অবস্থায় লেখকরা সাধারণত চুপ করে যান এবং প্রকাশক প্রতারিত করতেই থাকে।

দেবারতি মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন , তিনি চুপ করে থাকেননি, গত জুন মাসে তিনি বুকফার্মকে বই প্রত্যাহারের আইনি নোটিশ পাঠান এবং কপিরাইট অধিকার প্রয়োগ করে অন্য প্রকাশনার (দীপ প্রকাশন) সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু অতিমারির সুযোগে বুকফার্ম আলিপুর আদালতে একতরফা ইনজাংকশন বের করে, যাতে লেখিকা নিজেরই বইয়ের অন্য কোথাও স্বত্ত্ব না দিতে পারেন।

সাহিত্যিক দেবারতি মুখোপাধ্যায়, যিনি নিজে উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান। এবং তিনমাস শুনানির পর বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ ওইএক্স পার্টি একতরফা ইনজাংকশন ভুল ঘোষণা করেন। জয় হয় লেখিকার। এরপরই নিজের প্রাপ্য রয়্যালটি পেতে থানায় FIR দায়ের করেন দেবারতি মুখোপাধ্যায়। ক্রিমিনাল কোর্টে শীঘ্রই শুনানি শুরু হবে। প্রসঙ্গত, এর মধ্যেই ওই সাতটির একটি বই ‘নরক সংকেত’ থেকেই বর্তমানে এসকে মুভিজ স্বস্তিক সংকেত সিনেমা করছে, যাতে অভিনয় করছেন নুসরত জাহান ও গৌরব চক্রবর্তী।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I