লজ্জার বিদায় অপেক্ষা করছে ট্রাম্পের জন্য! জানুন মার্কিন রাষ্ট্রপতির ইমপিচমেন্টের বিশদ
প্রাথমিক দাবি ছিল মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর ৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারিত করা হোক। তবে মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হওয়া এই প্রস্তাবকে খারিজ করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ করার প্রস্তাব আনা নিয়ে প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজকেই এই প্রস্তাবনা আনা হতে পারে।

ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পথে হাঁটতে পারে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পথে হাঁটতে পারে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস। এক্ষেত্রে হয়তো কোনওরকম হিয়ারিং ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে এখন সেনেটে অধিবেশন চলছে না। তাই ১৯ জানুয়ারির আগে ট্রায়াল শুরু করা যাচ্ছে না। এই নিয়ে দু'বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে হাউজে। এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দল রিপাবলিকানের কমপক্ষে তিন সদস্যও ইমপিচমেন্টের দাবি তুলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ভোটাভুটিতে ইমপিচমেন্টের পক্ষে সায় দেবেন তাঁরা।

কীভাবে কার্যকর হয় ইমপিচমেন্ট পদ্ধতি
মার্কিন সংবিধান অনুসারে হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভরা একজন প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করতে পারেন দেশদ্রোহী, ঘুষ বা অন্য উচ্চতর অপরাধের তকমার প্রমাণ থাকলে। কিন্তু, উচ্চতর অপরাধ কী, সে বিষয় কোনও স্পষ্ট বিবৃতি নেই। এবিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের নিজস্ব একটা ভিন্ন মতামত রয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করা হয় ইমপিচমেন্ট সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, তার পর সেটির ভোটাভুটি হয়। এই সংক্রান্ত লিপি প্রথমে মার্কিন কংগ্রেস পাশ করতে হয়, তার পর দুই তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ হলে তবেই কার্যকর হয় ইমপিচমেন্ট পদ্ধতি।

রিপাবলিকানদের বিক্ষোভ
জো বাইডেনকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট হিসেবে সিলমোহর দিতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে। আর ঠিক তখনই লাখ লাখ ট্রাম্প সমর্থক ভিড় করতে থাকে বাইরে। প্রথমে বিল্ডিংয়ের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল রিপাবলিকানরা। কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের চারিদিক মুড়ে ফেলা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে। বসানো হয়েছিল ব্যারিকেড।

ক্যাপিটলের ভিতরে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা
কিন্তু বাইরে ট্রাম্পের সমর্থকদের ভিড় আরও বাড়তে শুরু করে। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। কয়েক দফা ধস্তাধস্তির পর ব্যারিকেড ভেঙে মার্কিন ক্যাপিটলের ভিতরে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের দখল নেয় বিক্ষোভকারীরা। রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা। আর এই সব কিছুর জন্য দায়ি করা হয় ট্রাম্পের কিছু 'উসকানিমূলক' সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে।

নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র
ঘটনার জেরে ট্রাম্পের ফেসুবক-টুইটার-ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পাকাপাকি ট্রাম্পের টুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ভিতরে এই তাণ্ডবে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। ট্রাম্পের মেয়াদ শেষের আগেই তাঁকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরানোর জন্য দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। যদিও এটা ইমপিচমেন্ট করার মতো অপরাধ কি না, তা নিয়ে একাধিক মত বিরোধ রয়েছে।