স্টাফ রিপোর্টার, বোলপুর: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। একুশের লড়াই মূলত তৃণমূল বনাম বিজেপি। একপক্ষের লক্ষ্য ক্ষমতা ধরে রাখার অন্যপক্ষের লক্ষ্য ক্ষমতা দখলের৷ হাইভোল্টেজ এই নির্বাচনের বৈতরণী পেরতে এবার মহাযজ্ঞের আয়োজন করলেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই যজ্ঞের নাম রাখা হয়েছে ‘মহাবিজয় যজ্ঞ’। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার বোলপুরের কঙ্কালীতলায় কঙ্কালী মায়ের সামনেই এই যজ্ঞ করবেন অনুব্রত।
কখনও তারাপীঠে, কখনও কঙ্কালীতলায়- নানান সময় দল এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঙ্গলের জন্য মা কালীর কাছে প্রার্থনা করেছেন অনুব্রত মণ্ডল৷ করেছেন যজ্ঞও৷ একুশে ক্ষমতায় ফিরতে এবারও শক্তির আরাধনার আয়োজন করলেন বীরভূমের এই দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা৷
জানা গিয়েছে, সে যজ্ঞের জন্য এলাহি আয়োজন করা হচ্ছে। ১ কুইন্টাল ১১ কেজি বেল কাঠ, তিন টিন ঘি এবং ১০০১টি বেলপাতা পোড়ানো হবে। এই যজ্ঞ করার জন্য ১২ জন পুরোহিতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই যজ্ঞ করবেন অনুব্রত। যজ্ঞ শেষে আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষের নরনারায়ণ সেবারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সরাসরি অবশ্য যজ্ঞের কারণ বলছেন না অনুব্রত মণ্ডল। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হেঁয়ালির ছলেই তিনি বলছেন, ‘‘আগেকার দিনে রাজা মহারাজারা যুদ্ধে যাওয়ার আগে মহাযজ্ঞ করতেন। ভেবে নিন, এটাও সেই একই রকম যজ্ঞ!’’যদিও অনব্রত-ঘনিষ্ঠ জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘বিধানসভা ভোটে দল যাতে আবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় আসে, তার জন্যই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছেন কেষ্টদা।’’
এবারের বিধানসভা ভোট তৃণমূলের কাছে সব থেকে চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে। বীরভূম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও বিজেপি এবার শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। জেলা বিজেপি দাবি করেছে, তারা বীরভূমে ১১টি আসনের মধ্যে ৭-৮টি আসন জিততে চলেছে। অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ৯ আসন তাঁদের দখলে আছে এবার ভোটে বাকি দুটি আসনের দখল নেবে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে দলনেত্রীর কথা ভেবে বন্ধ তারাপীঠে যজ্ঞ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য দিনরাত এক করে কাজ করছেন। তিনি চান সবাই সুস্থ থাকুন, সেই মুখ্যমন্ত্রীর শক্তি ও মনোবল বাড়াতেই এই পুজোর আয়োজন। মায়ের কাছে তিনি গোটা দেশবাসীর সুস্থতা কামনা করেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.