নিউইয়র্ক: ফের ডিজিটাল বয়কটের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইউ-টিউব চ্যানেল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হল। ইউ-টিউবে সম্প্রতি ট্রাম্পের একটি ভিডিও ঘিরে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা করে কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সেই ভিডিওটি মুছে দেওয়া হয়। তারপরেই ট্রাম্পের ইউ-টিউব চ্যানেলটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই জোর ধাক্কা খেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের বক্তব্যে ফের হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই অভিযোগ তুলে আগেই বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে ব্লক করে দিয়েছে টুইটার।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে নিজের সমর্থকদের খেপিয়ে তুলেছিলেন ট্রাম্প, তা ভবিষত্যেও ঘটতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারকে ব্যবহার করে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছড়াতে পারে, তাই বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
প্রথম থেকেই নিজের পরাজয় মেনে নিতে পারেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফল প্রকাশের দিন থেকেই তিনি ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন। সম্প্রতি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাল না ছাড়ার আহ্বান জানান প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তারপরেই সেনেটেরদের আটকে শুরু হয় ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ভিতরেও ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ। পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান চার ট্রাম্প সমর্থক।
এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউ-টিউব চ্যানেলটিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল। আপাতত এক সপ্তাহ ধরে ট্রাম্পের এই চ্যানেল বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের ইউ-টিউব চ্যানেলে থাকা যে ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেটি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে। তারপর ট্রাম্পের চ্যানেলটি ফের চালু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইউ-টিউব।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.