দেশে কৃষি আইন লাগু বাতিল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ১০ ধাপ
কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত দেশে কৃষি আইন লাগুর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পরিবর্তে সমস্যা সমাধানে কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। ঐতিহাসিক এই রায়ের দশটি ধাপ দেখে নেওয়া যাক। ঠিক কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট, তা জেনে নেওয়া যাক এক নজর।

১) কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত কৃষি আইন লাগু বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী রায় না বেরোনো পর্যন্ত এই আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে।
২) কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
৩) শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কমিটিতে থাকবেন কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাটি, প্রমোদ জোশী, অনিল ঘানওয়াত ও ভূপিন্দর সিং মান।
৪) মামলার শুনানি চলার সময় কৃষক আন্দোলনে খালিস্তানি জঙ্গি যোগের অভিযোগ আনেন কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল।
৫) কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গি যোগের বিষয়টি প্রমাণ করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে একদিনের মধ্যে এফিডেভিট জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
৬) কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল আদালতে অভিযোগ করেন যে আন্দোলনরত কৃষকরা কোনও শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও শীর্ষ আদালতে তিনি জানান।
৭) কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ নিয়ে মামলা লড়া আইনজীবী এপি সিং সুপ্রিম কোর্টে কথা দেন যে মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের আন্দোলনে সামিল করা হবে না। আইনজীবী সিংয়ের কথা রেকর্ড করে শীর্ষ আদালত।
৮) মধ্যস্থতার জন্য যে কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে তারা পৃথকভাবে কৃষকদের সবকটি কমিটি, সরকার পক্ষের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই পর্যবেক্ষণ মূলক রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে বলা হয়েছে।
৯) কৃষকদের আইনজীবী আদালতে জানান যে কেন্দ্র কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না নিলে কমিটি গড়েও মুশকিল আসান হবে না। তারপরই ওই আইনে স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।
১০) রামলীলা ময়দান সহ দিল্লির যে কোনও প্রান্তে কর্মসূচি নিতে গেলে কৃষকদের পুলিশদের কাছে অনুমতি নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।