প্রশ্নের মুখে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কমিটি! কৃষি আইনের জট কাটাতে ১০ দিনেই প্রথম বৈঠকের নির্দেশ
মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্র। দেশজোড়া আন্দোলনের মাঝেই মঙ্গলবার এই আইন প্রণয়নে আপাতভাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। উল্টে কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে অচলাবস্থা কাটানোর জন্য ৪ সদস্যের কমিটি গড়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয় এই নির্দেশের দশ দিনের মধ্যেই এই কমিটিকে প্রথম বৈঠকে বসারও নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে।

১০ দিনের মধ্যেই প্রথম বৈঠকের নির্দেশ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কমিটিতে থাকছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন(মান)-এর সভাপতি ভূপিন্দর সিংহ মান, শেতকরি সংগঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত এবং ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রমোদকুমার জোশী। শুধুমাত্র ১০ দিনের মধ্যে প্রথম বৈঠকই নয়, আগামী দুমাসের মধ্যে যাবতীয় মিটিং শেষ করে এই সুপ্রিম কোর্টের কাছে যাবতীয় পর্যবেক্ষণ পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় প্রতিবাদী কৃষকেরা
এদিকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু'মাস ধরে সিঙ্ঘু সহ দিল্লি সীমানার বিস্তৃর্ণ অংশে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। দাবি না মেটা পর্যন্ত তাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ জারি থাকবে বলেও কৃষক সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে একটি বড়সড় ট্রাক্টর মার্চেরও ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে। এমতবস্থায় সুপ্রিম নির্দেশের পরে কেন্দ্র যে ঘরে বাইরে বড়সড় চাপের মুখে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।

কমিটি গড়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে তৈরি কমিটি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সমাজের নানা মহলে। এমনকী বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশের অভিযোগ ‘লোক দেখানো' কমিটি তৈরি করে আদপে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে। সরব হতে দেখা গিয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্রকে।

কৃষক আন্দোলনের কোমড় ভাঙার চেষ্টা
বিরোধী শিবিরের একাংশের দাবি আদপে ২ মাসের অতিরিক্ত সময় দিয়ে কৃষক আন্দোলনের কোমড় ভাঙার চেষ্টা চলছে। যে চারজনকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাঁরা এর আগে প্রকাশ্যেই কেন্দ্রের কৃষি আইনকে সমর্থন করেছিলেন বলেও দাবি করেন মহুয়া। তাই এই কমিটির অভিসন্ধি নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও সুপ্রিম নির্দেশের পর ১০ দিনের মাথায় মধ্যস্থতাকারী বিশেষ কমিটির পর্যবেক্ষণ কী দাঁড়ায় এখন সেটাই দেখার।

আদৌ নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি বিচার করতে পারবে কি 'কেন্দ্র ঘনিষ্ঠ' কৃষি কমিটি! ধন্দে কৃষক সমাজ