ওয়াশিংটন: ফের হামলার আশঙ্কা। আবারও কি মার্কিন গণতন্ত্রে আঘাত? এই দুই প্রশ্ন ঘিরে চিন্তিত এফবিআই। গোপন সূত্র বিশ্লেষণে গোয়েন্দা বিভাগ জারি করেছে সতর্কতা। বলা হয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের আগে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প সমর্থকরা আরও সশস্ত্র বিক্ষোভ করতে পারে। শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হচ্ছে।
ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশইন বা এফবিআই জানিয়েছে, ১৭ জানুয়ারির আগে ৫০টি অঙ্গরাজ্য সহ ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্প সমর্থকদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি জমায়েতের পরিকল্পনা করছে। এফবিআইয়ের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সমর্থকরা স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় আদালতগুলি ঢুকে দখল নেওয়ার পড়ার ডাক দিচ্ছে। ২০ জানুয়ারি হবে বাইডেনের শপথ।
বিবিসি জানাচ্ছে, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিশেষ অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভক্ত রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা মার্কিন সংসদ ভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সময় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সহ ডেমোক্র্যাট দলের আনুষ্ঠানিক জয় ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছিল।
এফবিআই মনে করছে গত ৬ জানুয়ারির মতো আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প ভক্তরা তাণ্ডব করতে মরিয়া। তারা কিছুতেই নেতা ট্রাম্পের মতো পরাজয় মানতে পারছে না। পরিস্থিতি বিচার করে সতর্কতা জারি হচ্ছে। যদিও সংসদে ট্রাম্প ভক্তদের হামলার পর থেকেই রাজধানী ওয়াশিংটন জুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। যে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হচ্ছে।
গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের উস্কানিমূলক ভাষণের পরেই এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা থেকে আনুষ্ঠানিক সরে যাওয়ার আগেই তাকে ইমপিচমেন্ট( অভিশংসন) প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। ভয়েস অফ আমেরিকা জানাচ্ছে, এই প্রক্রিয়ায় সায় দিয়েছেন ট্রাম্পের দলের বিক্ষুব্ধ রিপাবলিকান নেতাদের অনেকেই।
আগামী ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনের বাইরে জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। জো বাইডেন সাংবাদিকদের জানান, ক্যাপিটলের বাইরে শপথ নিতে কোনো ভয় পাচ্ছেন না তিনি। আশা করা হচ্ছে তিনি এবং নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভবনের বাইরেই শপথ নেবেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.