নয়াদিল্লি: বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ এরই মধ্যে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করে খবর, গুগল সার্চে মিলছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য।
পরিস্থিতি কঠিন হতেই তড়িঘড়ি সাফাই দিতে মাঠে নামল ফেসবুক মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ৷ কোনও ভাবেই এই পলিসি ইউজারদের গোপনীয়তাকে প্রভাবিত করবে না বলেই তাদের আশ্বাস৷
এদিন টুইট করে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার তরফে জানানো হয়, সাম্প্রতিক আপডেট নিয়ে যে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে, তার মোকাবিলা করতে চায় সংস্থা৷ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সহ ব্যক্তিগত বার্তাগুলি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখা হবে৷ ইউজার ও গ্রুপ ইনভাইট যাতে গুগল ইনডেক্স না হয়ে যায়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে৷
হোয়াটসঅ্যাপের তরফে আরও জানানো হয়েছে, তারা বা তাদের মূল সংস্থা ফেসবুক কোনও ইউজারের বার্তা পরতে পারে না বা তাঁদের কথোপোকথন শুনতে পারে না৷ কোনও ইউজার কাকে ফোন করছে বা মেসেজ করছে, সেই তথ্য সংস্থা রাখে না৷ এমনকী কোনও ইউজার ব্যক্তিগত বার্তায় কোন লোকেশন ব্যবহার করছে সেটাও যাচাই করা হয় না৷
সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক আপনার পরিবার-বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া বার্তা পড়তে বা আপনাদের কল শুনতে পায় না৷ এটা আপনাদের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে৷’’ হোয়াটঅ্যাপ আরও জানিয়েছে, ‘‘আমাদের প্রাইভেসি পলিসি আপডেট আপনাদের গোপনীয়তাকে আঘাত করবে না৷’’
গত সপ্তাহে মেসেঞ্জারের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই সংস্থার তরফে এল এই ব্যাখা৷ তবে উল্লেখ্য, আপডেটেড এই নীতি ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক৷ তা না হলে অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস হারাতে হতে পারে৷ সংস্থার দাবি, ইউজারদের কনট্যাক্ট লিস্ট তারা ফেসবুককে দেয় না৷
হোয়াটসঅ্যাগ গ্রুপগুলি প্রাইভেট। শেয়ার করা লোকেশনও হোয়াটসঅ্যাপ যাচাই করে দেখে না বা ফেসবুককে জানায় না। তবে যেসকল চ্যাট বিজনেস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে হবে সেগুলি সম্পর্কে হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুককে তথ্য দেয়৷
সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছে, মোবাইল ব্যবহারকারী এবং অপারেটররা তথ্য সংরক্ষণ করে থাকলেও আমরা বিশ্বাস করি যে দুই বিলিয়ন ইউজারের জন্য এই রেকর্ডগুলি রাখা গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা উভয় দিক থেকেই ঝুঁকির কারণ৷ এবং আমরা তা করি না৷”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.