তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: দীর্ঘ ছ’মাস এলাকা ছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান। এবার তাঁর ঘরে ফেরার দাবিতে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন খোদ তৃণমূলের প্রধান। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

প্রসঙ্গত, উলিয়াড়া গ্রামে গত ১ আগষ্ট খুন হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন প্রধান বাবর আলি। ওই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় প্রধান তাসমিনা খাতুনের স্বামী রহিম মণ্ডলের। পরে পুলিশ রহিম মণ্ডল সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। তারপর থেকেই প্রধান তাসমিনা খাতুন সপরিবারের এলাকা ছাড়া। প্রধান এলাকার বাইরে থাকায় ব্যহত হচ্ছে পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম। মঙ্গলবার প্রধান তাসমিনা খাতুনের নেতৃত্বে দীর্ঘ ছ’মাস ‘ঘরছাড়া’ প্রায় দু’শো তৃণমূল কর্মী তাদের বাড়ি ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।

‘ঘরছাড়া’ মিলন মোল্লার দাবি, আমরা বিনা দোষে ঘরছাড়া। দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দে খুন হলেও ঐ ঘটনায় তারা যুক্ত নন বলে তিনি দাবি করেন।

‘ঘরছাড়া’ বদরু আলম মণ্ডলের দাবি, তাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। জামিনে মুক্ত হলেও দীর্ঘদিন তারা ঘরছাড়া। ঘরে ফেরার দাবিতে প্রশাসন থেকে শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের দরজায় দরজায় ঘুরলেও কোন কাজ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

প্রধান তাসমিনা খাতুন বলেন, আমি পঞ্চায়েত যেতে না পারায় সব কাজ ব্যহত হচ্ছে। আমাদের ঘরে ফেরানোর দাবি জানিয়ে পুলিশ -প্রশাসন সবার দ্বারস্থ হয়েছি। কোন কাজ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত এবিষয়ে বলেন, ওনার চিঠি পেয়েছি। প্রধান পঞ্চায়েতে যেতে পারছেননা। বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিককেও জানানো হয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বলে মহকুমাশাসক জানান।

জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শুভাশীষ বটব্যাল এপ্রসঙ্গে টেলিফোনে বলেন, প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সহ মহকুমাশাসক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিককেও এবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আমরা দলীয়ভাবে ঐ এলাকায় শান্তি চাইছি, যারা অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি বলেন, উলিয়াড়ার প্রধান দীর্ঘদিন পঞ্চায়েতে ঢুকতে পারছেন না। সাধারণ মানুষ সমস্যায়। উনি কোথায় লুকিয়ে আছেন কেউ জানেনা। এভাবে চলতে পারেনা। উলিয়াড়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রাজ্যেও হবে। ২০২১ এ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও রাজ্য ছাড়া হবেন বলে তিনি দাবি করেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I