কলকাতা: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে আজ কলকাতায় যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের মিছিল পাল্টা মিছিল। গতকাল শোভন চট্টোপাধ্যায় যে রুট ধরে রোড শো করেছিলেন আজ সেই একই রুট ধরে মিছিল করবেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলকে জবাব দিতে পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপিও। উত্তর কলকাতায় আজ রোড শো করবেন শুভেন্দু অধিকারী।

বিধানসভা ভোটের আগে সরগরম বাংলা। রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা তুঙ্গে। একদিকে ‘উন্নয়ন’-কে পাখির চোখ করে জন-সমর্থন আরও বাড়িতে নিতে একের পর এক কর্মসূচি সাজাচ্ছে শাসক তৃণমূল। অন্যদিকে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে ভোট ময়দানে বিজেপি। বাংলা দখলে এবার মরিয়া গেরুয়া শিবির। ভোট-যুদ্ধে রয়েছে বাম-কংগ্রেসও। নিজেদের মতো করে কর্মসূচি সাজিয়ে এগোচ্ছে দুই দল।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সোমবারই প্রথম দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গোলপার্ক থেকে সেলিমপুরে দলের কার্যালয় পর্যন্ত সোমবার রোড শো করেন শোভন-বৈশাখী। রোড শো শেষে বক্তৃতায় তুলোধনা করেন তাঁর পুনো দল তৃণমূলকে।

একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমদের প্রতিও তীব্র বিষোদগার করতে শোনা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই, ইডি নিয়ে ভয় দেখানোর কথা বলছেন, তবে আটকাতে পারছেন না কেন? কয়লা চুরি, গরু পাচারে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে, আপনি বলছেন সব মিথ্যা কথা। মিছিলই বলে দিচ্ছে বাংলায় আর তৃণমূল থাকবে না।’’

সোমবার শোভন-বৈশাখীর এই মেগা রোড শোয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় চিল চোখে পড়ার মতো৷ দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে শোনা গেল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এদিকে, সোমবার শোভন চট্টোপাধ্যায় যে রুট ধরে রোড শো করেছেন সেই রুটেই আজ মঙ্গলবার রোড শো করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে জবাব দিতেই তৃণমূল যুব সভাপতির এই রোড শো। জানা গিয়েছে, আজ গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরই পাশাপাশি আজ কলকাতায় রোড শো করবেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। ইতিমধ্যেই জেলায়-জেলায় রোড শো করছেন শুভেন্দু। এবার কলকাতা শহরে তাঁর রোড শো। জানা গিয়েছে, শ্যামবাজার থেকে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত রোড শো করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে আজ শহর কলকাতা জুড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একুশের লড়াইয়ে আরও ঝাঁঝ বাড়াতে তৎপর শাসক ও বিরোধী দল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I