পার্শ্ব শিক্ষকদের বিক্ষোভে অশান্তি রেডরোডে, আদালত অবমাননার মামলা হাইকোর্টে
পার্শ্বশিক্ষক-সহ একাদিক শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কলকাতার রেড রোড চত্বরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। পুলিশ ও পার্শ্ব শিক্ষক দুই পক্ষের তুমুল বচসায় আহত হলেন একাধিক পুলিশ কর্মী। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন শিক্ষকদের আটক করা হয়েছে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে নামাতে হয় কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফ। এই ঘটনায় পাশের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচীর ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলা দায়ের করে রাজ্য।
১০ জানুয়ারি রবিবার ছুটির দিনেও আদালতে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয়।

সেই শুনানির ভিত্তিতে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করার জন্য আদালতে অনুমতি পায় পার্শ্বশিক্ষকরা। তবে মিছিল ও নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি আদালত। পাশাপশি, মামলাকারি পার্শ্বশিক্ষকরা এক সঙ্গে 500 জনের বেশি জমায়েত হতে পারবেন না বলেও জানিয়েছিল আদালত। করোণা পরিস্থিতিতে কোভিড প্রটোকল মেনে তাদের এই কর্মসূচি চালাতে হবে বলেও নির্দেশ ছিল আদালতের। তাদের কর্মসূচির কারণে যাতে কোনভাবে যানজট না হয় এবং আইন-শৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে না। এছাড়াও তাঁদের কর্মসূচির কারণে সাধারণ মানুষের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কিন্তু সোমবার শিক্ষক সংগঠনের ব্যানারে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন ও অবস্থান বিক্ষোভ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান শুরু হলেও মিছিল নবান্নের দিকে যাত্রা শুরু করতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রেড রোড ধরে মিছিল নবান্নের দিকে এগোতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পার্শ্বশিক্ষকেরা। দুই তরফে ধস্তাধস্তির জেরে আহত হন একাধিক পুলিশ কর্মী। এমনকি আন্দোলনকারীদের মধ্যেও কয়েকজন আহত হন। একজন মহিলা পার্শ্বশিক্ষকের শাড়িও প্রায় খুলে যায়। আঘাত পান ডিসি সাউথ নীলকণ্ঠ সুধীরকুমার।
কৃষক বিক্ষোভ সমাধানে কমিটি গঠনের নির্দেশ, কারা রয়েছেন সেই বিশেষজ্ঞ কিমিটিতে একনজরে