আগরতলা: মডেল ত্রিপুরা রূপায়ণে বাঁশ বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি বলেছেন, ত্রিপুরার যুব সমাজের কর্মসংস্থানের জন্য বাঁশ উৎপাদন জরুরি। সেই বাঁশ থেকে তৈরি বোতল ও আনুষঙ্গিক জিনিষের চাহিদা বিশ্বে এত যে রোজগার বিপুল হবে।
মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আগরতলায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিবেকানন্দের স্বপ্নের ভারত নীতি তুলে ধরেন তিনি। সেই সঙ্গে মডেল ত্রিপুরা গড়ে তুলতে বাঁশ কে গুরুত্ব দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, বাঁশের বোতলের দাম কত ? দুবাইয়ের বাজারে এই বোতল আড়াই হাজার, তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়। একটি বাঁশের দাম স্থানীয় এলাকায় মাত্র ৫০ টাকা। সেটি আগরতলায় ১৫০টাকায় বিক্রি হয়। সেই বাঁশ থেকে সাত আটটি বোতল তৈরি হয়। এর মধ্যে কাঁচ দিলে আরও দাম বাড়বে। একটি বাঁশ থেকেই কম করে ১১ হাজার টাকা লাভ হবে। এর চেয়ে বড় বিজনেস কী হতে পারে?
তিনি বলেন, বাঁশ আগেও ছিল ত্রিপুরাতে। স্বামীজির যে ‘সোচ’ অর্থাত চিন্তা সেই দিকেই যাচ্ছে ত্রিপুরা সরকার। এখনকার যুব সমাজ বাঁশ ব্যবসা করে লাভবান হবেন। সেই দিকেই যাচ্ছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। তবে এখন হাতে তুলে কাজ দেওয়া যায় না। আমি বলতে পারিনা এই ছেলেটাকে চাকরি দিয়ে দেব। সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে সেটা আমি স্বীকার করিনা। একটা ধারা বহুদিন ধরে চলছিল। তার থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ধারা তৈরি করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বাঁশ ব্যবসায় গুরুত্ব দেওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়ছেন। নেটিজেনদের প্রশ্ন, এত বাঁশ ব্যবসায় গুরুত্ব কেন। প্রশ্ন তুলছেন, কর্মচ্যুত ১০৩২৩ মঞ্চের অবস্থান বিক্ষোভকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিকল্প কর্মের দাবিতে এক মাসের বেশি তাঁদের অবস্থান চলছে আগরতলায়।
আশি জনের বেশি শিক্ষক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন। সম্প্রতি এক আত্মঘাতী শিক্ষকের স্ত্রী অভাবের কারণে সহমরণে যেতে চান। এক শিক্ষিকা নিজে বিষ খেয়ে মরার আগে সন্তান কে বিষ খাওয়ান। অভিযোগ, সরকার এই কর্মচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের রোজগারের ব্যবস্থা নিতে চাইছে না।
রাজ্যে গত বাম আমলে নিয়োগ পেরেছিলেন ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। তাঁদের নিয়োগ ত্রুটিপূর্ণ বলে আদালত। বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করার কথা দেয় পূর্বতন বাম সরকার। তবে নির্বাচনে পরিবর্তন হয়। ক্ষমতায় আসে বিজেপি আইপিএফটি জোট। এর পর থেকে কর্মচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকার পুনরায় কর্মসংস্থান নিয়ে বিতর্ক চরমে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.