সুপ্রিম কোর্ট মনোনীত চার সদস্যের কমিটি কেন্দ্রেরই মুখ! অভিযোগ কৃষকদের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা কৃষি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ে খুশি হলেও শীর্ষ আদালতের সম্পূর্ণ নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেছেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা। উল্টে সুপ্রিম কোর্টের গড়ে দেওয়া চার সদস্যের কমিটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপাত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

কমিটির সামনে বসবেন না কৃষকরা
আন্দোলনেরত সবকটি সংগঠনকে বেঁধে তৈরি করা সম্মিলিত ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল, কেন্দ্রের কৃষি বিল লাগু করার ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। তা বলে দুই পক্ষের মধ্যস্থতায় তৈরি করে দেওয়া নিরপেক্ষ কমিটির ওপর তাঁদের ভরসা নেই বলেও জানিয়েছেন ওই কৃষক নেতা। বলেছেন যে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া কমিটির সঙ্গে তাঁরা কিছুতেই আলোচনায় বসবেন না।

কেন্দ্র এটাই চাইছে
কোনও পক্ষের মধ্যস্থতায় কৃষি আইন নিয়ে বিতর্কের সমাধান হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক নেতারা। কারণ সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত কমিটিতে যে চার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তাঁরা বকলমে কেন্দ্রেরই মুখ বলে দাবি করেছেন সম্মিলিত ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল। তাঁর দাবি, কমিটির সদস্যরা কৃষি আইনকে সমর্থন করেছিলেন। ফলে তাঁরা যে রিপোর্ট তৈরি করবেন, তা কেন্দ্রের হিতে যাবে বলে মনে করেন দর্শন পাল। সরকার প্রভাব খাটিয়ে এই কমিটি তৈরি করিয়েছে বলে অভিযোগও করেছেন কৃষক নেতা।

কী চান কৃষকরা
ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পালের কথায়, কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতায় যেতে রাজি নন। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার দাবি থেকে তাঁরা নড়বেন না বলে সাফ জানিয়েছেন কৃষক নেতা। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা যেভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সেভাবেই কর্মসূচি চলবে বলেও জানিয়েছেন ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল।

কমিটিতে রয়েছেন কারা
কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। কমিটিতে থাকবেন কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাটি, প্রমোদ জোশী, অনিল ঘানওয়াত ও ভূপিন্দর সিং মান। তাঁদের কেন্দ্রের আস্থাভাজন বলে আখ্যা দিয়েছেন কৃষকরা। কমিটি সদস্য পরিবর্তন করা হলেও তাঁরা মধ্যস্থতার রাস্তায় হাঁটবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।