কাঠমাণ্ড: ভারতের আপত্তি উড়িয়ে নয়া মানচিত্রে সিলমোহর দেওয়ার পর থেকেই নেপালের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল ভারতের৷ নয়া মানচিত্রে ভারতের অনেকখানি অংশ নিজেদের বলে দাবি করে কাঠমাণ্ডু৷ এর পিছনে পরশি চিনের ইন্ধন রয়েছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল৷

এর পর একাধিক ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে নেপালের বহু পুরনো সম্পর্কে লাগে তিক্ততার ছোঁয়া৷ তবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি৷ গায়েত্রী মন্ত্রকে সেরা মন্ত্র বলে উল্লেখ করলেন তিনি৷ তবে এখনও ছুঁয়ে গেল বিতর্ক৷ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমরা আমাদের দেশ, দেশের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত৷ গায়েত্রী মন্ত্রী, সমস্ত মন্ত্রের মধ্যে শ্রেষ্ঠ৷ নেপালের কোশি নদীর তীরে ছাতরায় এই মন্ত্র লিখেছিলেন কৌশিকা ঋষি (বিশ্বামিত্র)৷ এখান থেকেই জ্ঞানের স্ফূরণ ঘটেছে৷ যুগের উদ্ভাবন হয়েছে৷ যা গর্ব করার মতো বিষয়৷’’ প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঋষি ছিলেন বিশ্বামিত্র৷ পুরান মতে ভারতে ২৪ জন ঋষি ছিলেন৷ যাঁরা গায়েত্রী মন্ত্র জানতেন৷ তাঁদের মধ্যে প্রথম ছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র৷ সর্ব শেষ ঋষি ছিলেন যাজ্ঞবল্ক্য৷ ঋষি বিশ্বামিত্র কৌশিকা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ কুষা ঋষি ছিলেন তাঁর পিতামহ৷ তিনি ছিলেন মিথিলার বাসিন্দা৷ যা বর্তমানে নেপালের তেরাই এবং ভারতের বিহারে অবস্থিত৷ এদিন কেপি ওলি আরও বলেন, ভারত ও নেপালের মধ্যে সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে দুই সার্বভৌম দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে৷ আগামী দিনে পথ আরও প্রশস্ত হবে৷ একে অপরের প্রতি সম্মান রেখে স্বাধীনভাবে উন্নয়ন অগ্রগতি লাভ করবে। প্রসঙ্গত, এর আগে রামকে নেপালি বলে দাবি করেছিলেন কেপি শর্মা ওলি৷ তা নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়৷ এবার গায়েত্রী মন্ত্র নেপালের বলে উল্লেখ করলেন তিনি৷ কিন্তু ঋষি বিশ্বামিত্রকে ভারতীয় ঋষি বলেই উল্লেখ করা হয়৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I