নয়াদিল্লি : কৃষি আইন নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে উত্তাল দেশ! এই অবস্থায় বিতর্কিত এই আইন নিয়ে বড়সড় ধাক্কা মোদী সরকারের। বিতর্কিত কৃষি আইন কার্যকর করার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।

গত কয়েকদিন ধরে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল। আজ মঙ্গলবার এই শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷ একই সঙ্গে চার বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ যে কমিটি আইন নতুন তিনটি আইন খতিয়ে দেখবে।

শুধু তাই নয়, এই কমিটি সবপক্ষের মতামত শুনবে৷ সেখানে আন্দলরত কৃষকদের যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত তিনটি কৃষি আইনের উপরে স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে৷ এ দিনের আদালতের রায়ের পর কৃষক সংগঠনের নেতারা দাবি করছেন, তাদের আন্দোলনের জয় হল৷

তবে অপর কৃষকদের একাংশের দাবি, বিতর্কিত এই কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ নয়, একেবারেই বাতিল করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট এদিনের শুনানিতে যে কমিটি তৈরির কথা বলেছে সেখানে চারজনকে রাখা হয়েছে। রয়েছেন কৃষক নেতা জিতেন্দর সিং মান, আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারক প্রমোদ কুমার যোশী, কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি এবং মহারাষ্ট্রের শিবখেরি সংগঠনের নেতা অনিল ধনওয়াত৷

উল্লেখ্য, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে। এই আইনকে আপাতভাবে স্থগিত করা যেতে পারে কিনা সেই বিষয়ে জানতে চায়। কেন্দ্রের পরামর্শ চায় সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নতুন কৃষি আইন কার্যকর করার আগে কি সাময়িক ভাবে স্থগিত করা যেতে পারে। এই প্রশ্ন কেন্দ্রকে করে সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেন কেন্দ্র ও কৃষক নেতাদের মধ্যে কী ধরণের সমঝোতা বা মধ্যস্থতা হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু একটা সমাধানের পথ দ্রুত বের করা দরকার। তাই সাময়িকভাবে কী কৃষি আইন স্থগিত করা যেতে পারে? তাহলে হয়তো নিরপেক্ষভাবে বসে আলোচনা করা সম্ভব।

কৃষি আইন ও সেই সংক্রান্ত আন্দোলন নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। পিটিশন ফাইল করেন ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা, আরজেডি সাংসদ মনোজ কে ঝার মতো নেতারা। ১৭ই ডিসেম্বরের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল কোনও বিক্ষোভে বা প্রতিবাদ আন্দোলনে যদি সম্পত্তি হানি বা প্রাণহানি না হয়, তবে সেই বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অধিকার মানুষের রয়েছে। এই আন্দোলনে কেন্দ্র কোনও ভাবেই বাধা দিতে পারে না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I