কলকাতা: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যে পৌঁছোচ্ছে পুণের সিরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশের অন্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি বাংলাতেও গণটিকাকরণ অভিযান শুরু করা হবে। তার আগে আজ স্বাস্থ্য ভবনে কোভিশিল্ড প্রয়োগ নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ও ভাইস প্রিন্সিপ্যালরা।

জানা গিয়েছে, পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড দুপুরের বিমানেই কলকাতায় পৌঁছে যাবে। বিমানবন্দর থেকেই ভ্যাকসিনের একাংশ ইনসুলেটেড ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোর্সে।

সেখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন শহর ও জেলাগুলিতে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে। এরই পাশাপাশি ভ্যাকসিনের অপর একটি অংশ বিমানবন্দর থেকে এদিন দুপুরেই সোজা চলে যাবে হেস্টিংসে কেন্দ্রীয় সরকারের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল স্টোর্স ডিপোয়। কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠান থেকে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কলকাতা থেকেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে, প্রথম ধাপে পশ্চিমবঙ্গে মোট কত ভ্যাকসিন এসে পৌঁছোচ্ছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, দমদম বিমানবন্দরে এদিন ভ্যাকসিন পৌঁছোলে গাড়িতে তা নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। এরাজ্যে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ প্রক্রিয়া চালানো নিয়ে আজ স্বাস্থ্যভবনে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ছিলেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ও ভাইস প্রিন্সিপ্যালরা।

১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা গণটিকাকরণ প্রক্রিয়া মসৃণভাবে চালাতে তৎপর রাজ্য সরকার। সেব্যাপারেই মেডিক্যাল কলেজগুলির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের। এছাড়াও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে সেই পরিস্থিতিও দ্রুত সামাল দেওয়ার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়েও আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।

জানা গিয়েছে, করোনার টিকা নেওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে যাঁদের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে, তাঁদের জন্য প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে বিশেষ বিভাগ। প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরা পরিস্থিতি সামাল দেবেন সেই বিভাগে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I