ব্যংকক: সাইনা নেহওয়ালের করোনা আক্রান্তের খবরের মাঝে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে খারাপ খবর৷ থাইল্যান্ড ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই বিদাল নিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পিভি সিন্ধু৷ প্রথম রাউন্ডেই দৌড় শেষ হয়ে গিয়েছে পুরুষদের বিশ্বের ১৩ নম্বর সাই প্রণীতও৷ করোনা অতিমারীর পর এটাই ছিল সাইনা ও সিন্ধুর প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট৷

মঙ্গলবার সকালেই দেশের দুই তারকা খেলোয়াড়ের করোনা আক্রান্তের খবর এসেছিল৷ তারপর কোর্টেও দুই তারকার ব্যর্থতা ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের জন্য মোটেই সুখকর নয়৷ সাইনার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় কোর্টে নামা হয়নি লন্ডন অলিম্পিকে পদকজযয়ী এই তারকার৷ টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে দু’জনকে৷ তৃতীয় রাউন্ডের বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে সাইনার।

থাই সরকারের নিয়মে ১০ দিন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সাইনাকে৷ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে সাইনার স্বামী তথা দেশের আর এক ব্যাডমিন্টন তারকা পারুপল্লি কাশ্যপকেও৷ কারণে সাইনা ও কাশ্যপ দু’জনেই হোটেলের একই রুম শেয়ার করছিলেন৷

এদিন সাইনা, কাশ্যপ ও প্রণয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীরা ওয়াকওভার পেয়ে যায়৷ প্রথম রাউন্ডের সাইনার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কানাডার তথা বিশ্বের ৯২ নম্বর কিসোনা সেলভাদুরে৷ আর কাশ্যপের প্রথম রাউন্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কানাডার জেসন অ্যান্থনি হু-সুয়ে৷

করোনার কারণে সাইনার সরে দাঁড়ানোর পর সিন্ধুই ছিলেন ভারতের একমাত্র মহিলা সিঙ্গলস প্রতিযোগী৷ কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেন অলিম্পিকে পদক জয়ী ভারতীয় তারকা৷ ডেনমার্কের প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়া বিখফেল্টের কাছে তিন গেমের (২১-১৬, ২৪-২৬, ১৩-২১) লড়াইয়ে হারেন সিন্ধু৷ প্রথম গেম জেতার পর দ্বিতীয় গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে যান ভারতীয় তারকা৷ তৃতীয় গেমে অবশ্য ড্যানিশ প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে দাঁড়াতেই পারেননি সিন্ধু৷ আর প্রণীত স্ট্রেট গেমে (১৬-২১, ১০-২১) হারেন থাইল্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে৷

সিঙ্গলসে সিন্ধু ও প্রণীত প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকাতে না-পারলেও মিক্সড ডাবলসে ভারতীয় জুটি স্বাত্বীকসরাজ রানকিরেড্ডি ও অশ্বিনী পোন্নাপ্পা প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকেছে৷ ভারতীয় এই জুটি ইন্দোনেশিয়ার জুটিকে ২১-১১, ২৭-২৯ ও ২১-১৬ গেমে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I